শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড, সংগ্রহ ২২৮

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড, সংগ্রহ ২২৮

দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হয়েছে। খেলায় বিপর্যয়ের মুখে পরেও হৃদয়-জাকেরের রেকড সৃস্টি কওে ২২৮ রানের পুজি নিয়ে ভারতের সাথে লড়ছে টাইগার বাহিনী। এর আগে সবকটি উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে। তবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই ইনিংসে রেকর্ড গড়া হয়েছে ৬টি। বাংলাদেশ আর ভারত দুই দলই ভাগাভাগি করেছে এই রেকর্ডগুলো।
সে রেকর্ডগুলো এক নজরে দেখে আসা যাক চলুন–-ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রæততম ২০০ উইকেট শিকারি বনে গেছেন মোহাম্মদ শামি। মাত্র ৫১২৬ বল খরচ করে তিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন, যা আগের রেকর্ডধারী মিচেল স্টার্কের চেয়ে কম, তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৫২৪০ বলে। 
ম্যাচের হিসেবে অবশ্য স্টার্ককে পেছনে ফেলতে পারেননি শামি। ১০৪তম ওয়ানডেতে এই কীর্তি গড়েছেন,যা তাকে সাকলাইন মুশতাকের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। স্টার্ক ১০২তম ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েছিলেন।
ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফিল্ডার বিরাট কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৫৬টি ক্যাচ নিয়ে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় তারা এখন যৌথভাবে শীর্ষে।বিশ্ব ক্রিকেটে কেবল মাহেলা জয়াবর্ধনে (২১৮) ও রিকি পন্টিং (১৬০) ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন।
কুলদীপ যাদব ১০৮ ম্যাচ খেলার পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ফ্রন্ট-ফুট নো বল করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে তার প্রথম ওভারেই এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ৫৪৭৬ বল করে তিনি কখনও ফ্রন্ট-ফুট নো বল করেননি।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা মিডল ওভারে (১১-৪০) পর্যায়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ২০০২ সালের পর এটি মাত্র পঞ্চমবারের মতো ঘটনা, যখন ভারত এই ৩০ ওভারে কোনো উইকেট নিতে পারেনি। বাংলাদেশও মাত্র পঞ্চমবারের মতো এই পর্যায় পার করেছে উইকেট না হারিয়ে। তবে ভারত এই ওভারে বাংলাদেশকে মাত্র ১২৬ রানে আটকে রেখেছে।
বাংলাদেশের হয়ে তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা ১৫৪ রান যোগ করেন, যা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের ইতিহাসেরও সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট পার্টনারশিপ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। 
রোহিত শর্মার ক্যাচ হাতছাড়ার সংখ্যাও আছে আলোচনার কেন্দ্রে। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ১০টি ক্যাচ ফেলেছেন, যা টম ল্যাথামের (১১) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই সময়ে রোহিত ২২টি ক্যাচিং সুযোগ পেয়েছেন, যার মধ্যে তিনি ১২টি ক্যাচ নিতে পেরেছেন, সফলতা ৫৪.৫৫%। এটি ২০২৩ সাল থেকে ২০ বা তার বেশি ক্যাচের সুযোগ পাওয়া ২৬ জন ফিল্ডারের মধ্যে সর্বনিম্ন সফলতার হার।খেলা চলছে কোহিলীদের।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!