রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের ঝড় ৯ মার্চ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের ঝড় ৯ মার্চ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ঝড় আগামী ৯ মার্চ। এটি  হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। টুর্নামেন্টে ভারত নিজেদের সবকটি ম্যাচ খেলছে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নির্দিষ্ট একটি ভেন্যুতে খেলায় অন্য দলগুলোর তুলনায় বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন রোহিত-কোহলিরা।
এ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এই ভেন্যুতেই আগামী রবিবার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। অথচ ভারতীয়দের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। আসলে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এমনই- নিজেদের কাজটাই করেন তারা। ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘ভদ্র’ দলের তকমা তো আর এমনি এমনি পায়নি নিউজিল্যান্ড!ফাইনালের আগে সব জল্পনা এখন দুবাইয়ের উইকেট কেন্দ্র করে। এই মাঠেই গ্রæপপর্বে ভারতের সঙ্গে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচের উইকেট কিছুটা ধীরগতির ছিল।সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে বিপরীত চরিত্রে দেখা গেছে দুবাইয়ের উইকেট। এবার উইকেট কেমন আচরণ করবে?
এ প্রসঙ্গে কিউইদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওপেনার রাঁচিন রবিন্দ্র বলেছেন,‘দুবাইয়ের পিচ কেমন হবে জানি না। ভারতের বিপক্ষে গ্রæপপর্বের ম্যাচে বল ঘুরছিল। কিন্তু আগের দিনের ম্যাচে বল সেভাবে ঘোরেনি। আমাদের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। রবিবার দ্রæত সেই কাজটা করতে হবে।’
পরশু লাহোরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন রবিন্দ্র। ১০৮ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকান কেন উইলিয়ামসনও। তার ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। দুজনের বীরত্বে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৬২ রান তোলে তারা। বিশাল রান তাড়ায় জয়ের ধারেকাছেও যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ উইকেটে ৩১২ রান তুলতে সক্ষম হন প্রোটিয়ারা। বৃথা যায় ডেভিড মিলারের ৬৭ বলের অপরাজিত বিস্ফোরক সেঞ্চুরিটা। মিলারদের দুঃখ এবারও
‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচানো গেল না। আইসিসির টুর্নামেন্টে নক আউট পর্বে এলেই যে খেই হারিয়ে ফেলার যে দুষ্টচক্র এবারও সেখানে আটকে থাকলেন আফ্রিকানরা।
প্রোটিয়াদের বিদায় করা নিউজিল্যান্ডের চোখেমুখে এখন শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। গত কয়েক বছরে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালগুলোর নিয়মিত দল এবার কি পারবে নিজেদের দুঃখ ঘোচাতে? তাদের আশা দেখাচ্ছে রবিন্দ্রর ফর্ম। আসরে ইতোমধ্যে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ফাইনালেও বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্য তার। রবিন্দ্র বলেছেন, ‘ব্যাট করতে নামলে আউট হবেই। আশা করব ফাইনালে বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারব। দলের জন্য ভাল খেলতে চাই। কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে নামলে, আমরা প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। শেষ কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে আমরা সেটা করতে পারছি। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েও আমরা খুশি। এখানে আমরা আগেই চলে এসেছিলাম। সেটাই এখন ভালো খেলতে সাহায্য করছে।’
রানের ধারায় থাকতে চাইছেন উইলিয়ামসনও। তবে ভারতীয়দের নিয়ে যে অভিযোগ তাতে কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই তার। বিতর্কের কিছু দেখছেন না নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং বিভাগের অন্যতম ভরসা। উইলিয়াসন বলেন,ভারত বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছে দুবাইয়ে। তাই ওরা ফাইনালে কীভাবে খেলতে চাইবে সে সম্পর্কে ধারণা আছে আমাদের। আমরাও এখানে (লাহোর) বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি। ওরাও আমাদের মতো সুবিধা পেয়েছে। এটা ক্রিকেটেরই অংশ। বিতর্কের কিছু নেই।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক যোগ করেন,‘আমাদের লক্ষ্য এখন ফাইনালে। মাঠ, প্রতিপক্ষ, নিজেদের পারফরম্যান্স সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে। ওখানে (দুবাই) একবার খেলায় সেই অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমাদের। দুটো জায়গার পরিবেশ আলাদা। এখানকার ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই দুবাই যেতে চাই। দুই-তিন দিনের মধ্যে আমাদের তৈরি হতে হবে।’দুবাইয়ের মাঠে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন। ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলছেন তারা। তবে দুবাইয়ে আগে খেলায় তাদের সুবিধা হবে বলে মনে করেন উইলিয়ামসন। তার ভাষায়,‘দুই মাঠের পরিবেশ আলাদা মানছি। কিন্তু যে কোনো প্রতিযোগিতাতেই এ রকম কঠিন পরিবেশে খেলতে হয়। পরিস্থিতির বদল হবেই। ভারতের সঙ্গে খেলা আমাদের কাছে সুবিধার। কারণ এই মাঠে আগেও ওদের বিপক্ষে আমরা খেলেছিলাম।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!