খায়-দায় জব্বর, মোটা হয় চানঁ মিয়া। প্রবাদ বাক্য হলেও ঘটনাটা সত্য। বাংলাদেশে ইউএসএইডের ২৯ মিলিয়ন ডলার কোন সংস্থা পেল? খেলো তা জানেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন অপরিচিত সংস্থা যার কর্মকর্তাও দুই জন। তারা কি কওে ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান পান?
‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)’ শীর্ষক এক প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরি হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, এই তহবিল বাংলাদেশের এমন একটি ফার্ম পেয়েছে, যেখানে মাত্র দু’জন কর্মী কাজ করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডল শক্তিশালীকরণের নামে এই তহবিল দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত গভর্নর ওয়ার্কিং সেশনস অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) গত ১৬ ফেব্রæয়ারি জানায়, বাংলাদেশের জন্য ইউএসএইডের এই সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। তবে কারা বা কে এই সহায়তা পেয়েছে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি। একই দিন ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের কর্মসূচিসহ বিশ্বের ১১টি দেশে আর্থিক সহায়তা স্থগিত করে ডিওজি।
ভারতের ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ইউএসএইডের ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল নিয়ে করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে দেশটিতে তুমুল বিতর্ক চলছে। দেশটির সরকার ও বিরোধীরা ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ভারতে ইউএসএইডের তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ইউএসএইডের তহবিলের বিভিন্ন রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখার দাবি করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভারতীয় এই দৈনিক বলেছে, ভারতে নয়,বরং ২০২২ সালে ওই অর্থ বাংলাদেশে অনুমোদন দিয়েছিল ইউএসএইড। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ফ্যাক্টচেকে ওই ২ কোটি ১০ ডলার তহবিলের মধ্যে অন্তত এক কোটি ৩৪ লাখ ডলার ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :