ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাজাজুড়ে বর্বর এই হামলায় এক পরিবারের ১০ জনসহ ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি হামলায় হতাহতের বেশিরভাগই ছিল গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। তবে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসসহ রাফাহতেও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বর্তমানে রাফাহর কাছে শাবৌরা ও তাল আস-সুলতান এলাকায় ঘাঁটি গড়ে রাফাহকে খান ইউনিস থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছ। এখান থেকেই সর্বশেষ এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়ল কাৎজ বলেছেন, গাজা যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আইডিএফ কাজ করে যাচ্ছে।এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের পরাজিত করতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী চূড়ান্ত পথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’গতকাল ছিল খ্রিস্টা সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন গুড ফ্রাইডে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মধ্যে গাজার খ্রিস্টার ধর্মালম্বীরা অনাড়ম্বরভাবে এই দিনটি পালন করেছে।
শুধু গাজা নয়, ইসরাইলি ড্রোন হামলায় লেবাননের সিদন শহরের কাছে নিহত হয়েছেন এক হিজবুল্লাহ সদস্য। এদিকে, ইয়েমেনের হোদেইদাহ প্রদেশের রাস ইসা বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অনেকে, আহত দেড় শতাধিক। বন্দরটিকে হুতিদের ‘জ্বালানির ঘাঁটি" হিসেবে চিহ্নিত করে হামলা চালায় ওয়াশিংটন।এরমধ্যেই ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের দাবি, ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। এছাড়াও, একটি মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার কথাও জানায় গোষ্ঠীটি।
আপনার মতামত লিখুন :