মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১

আবারও ভাইরাস! এবার এইচএমপিভি বিস্তারের শঙ্কা!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৮:৫৩ এএম

আবারও ভাইরাস! এবার এইচএমপিভি বিস্তারের শঙ্কা!

করোনা ভাইরাস বিদায় না হতেই এবারও চীনেই দেখা মিলছে এইচএমপিডি ভাইরাস। যা চীনের পর এবার মালয়েশিয়াতেও বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের করোনা মহামারির পর এবার চীনে নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। বিেিশ^র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পতিবেদনে দেখা যায় এই ভাইরাস চীনের পর মালয়েশিয়াতেও ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস। 
ভাইরাসটিকে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে সাধারণত ঠান্ডা জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শীতের মৌসুমে ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এর দ্রæত বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়ায় অনেকেই তথ্য গোপনের আশঙ্কা করছেন। 
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
সিডিসির তথ্যানুসারে,এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু,বয়স্ক এবং যাদের রোগ পতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়।  এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়। কীভাবে ছড়ায়?এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-১.কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।২.হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।৩.সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা। এদিকেএইচএমপিভি ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মাস্ত পড়ার পরা,মর্শ আসছে।ছবি-সংগৃহিত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!