ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে বাংলাদেশ যে আহ্বান জানিয়েছে তার জবাবে কড়া বার্তা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের এই আহ্বানকে অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো বলে দাবি করেছে তারা। গতকাল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায় বলেও উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।এবার তার সেই আহ্বানের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন,পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটা চেষ্টা।’
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।
এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পক্ষে।’
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা বাতিল করা নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন,গত সপ্তাহে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিতে আমরা যে যানজট দেখতে পাই তার কারণে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আর এটা কোনোভাবেই নেপাল এবং ভুটানে বাংলাদেশের রফতানিকে প্রভাবিত করে না। তাই আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো দরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :