ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মুখোমুখী ভারত ও পাকিস্তান। এ ঘটনায় ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি। জবাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তানও। আজ ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,ভারতের নাগরিকদের জন্য পাকিস্তানের ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি,ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, তারা ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পানি বন্ধ বা অন্যদিকে প্রবাহিত করার যেকোনো উদ্যোগকে ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলছে, এমন কিছু করা হলে ‘জাতীয় ক্ষমতার পূর্ণ শক্তি দিয়ে’ এর প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা।এরআগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ টি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ভারত। সিদ্ধান্তগুলো হলো সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল, পাকিস্তানের সঙ্গে আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশন থেকে কর্মী প্রত্যাহার, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ।
এরপর বৃহষ্পতিবার একধাপ এগিয়ে ভারতের সাথে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগাহ সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানালো পাকিস্তান।
এছাড়াও ইসলামাবাদের ঘোষণায় ‘বিনা ভিসা প্রকল্পের’ আওতায় ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া সব ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের সংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা,নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ভারত পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।সূত্র: বিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :