ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একদিনে অন্তত ৩৪ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে প্রাণ গেছে অন্তত ৭১ জনের। নিরাপদ ঘোষিত অঞ্চলেও নেই নিরাপত্তা। একের পর এক শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
ইসরাইলি আগ্রাসনে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েও হামলা থেকে রেহাই মিলছে না গাজাবাসীর। ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড হয়ে আছে আশ্রয় শিবির। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এমন করুণ দৃশ্যের দেখা মেলে খান ইউনিস এলাকায়। শুধু এই আশ্রয় শিবিরই নয়, ইসরাইলি সেনাদের একের পর এক বোমা হামলায় বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে দক্ষিণ গাজার আল মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে বাস করা কয়েকজনের।
এদিনের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবনটিও। তবে ইসরাইলের দাবি, সেখান থেকেই গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতো হামাস। এর মধ্যেই ইসরাইলে হামলা বন্ধ আর জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় এত সেনাবহর পাঠানো হবে যা কখনোই দেখেনি হামাস- এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ।
অন্যদিকে,যুদ্ধবিরতির মধ্যে আবারও দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহতে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইসরাইলি সেনারা। তাদের দাবি, সেখানে মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :