ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আদালত সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালতের বিচারকরা। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মে মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে ইসরায়েল। এতে ওই সময় আদেশটি স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে একটি প্রাক-বিচারক চেম্বার আদালত নিজস্ব এখতিয়ারে ইসরায়েলের চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর নেতানিয়াহু, ইয়োভ গ্যালান্ট ও দেইফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ জারি করা হয়।
মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হলেও তার জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জুলাই মাসে গাজায় একটি বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। তবে তার নিহতের দালিলিক প্রমাণ আদালতে নেই। তাই আদালতের চোখে দেইফ এখনও জীবিত এবং যুদ্ধাপরাধের আসামি।
পরোয়ানা জারির আদেশে বিচারকরা বলেছেন,ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই তিন ব্যক্তির ওই অপরাধের দায় বহন করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। যদিও ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু প্রকাশ্য প্রমাণ থাকায় আদালত তাতে সন্তুষ্ট হননি। এ আদেশ কার্যকর এখন আইসিসির ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে। এই পরোয়ানা কার্যকর করবে কি না তাদের দ্রæত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে গেল মে মাসে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। এই ব্যক্তিরা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এমন অভিযোগে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়। তখন ইসরায়েলের আপিলে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতগ্রেপ্তারি পরোয়ানা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)
আপনার মতামত লিখুন :