ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশে একসঙ্গে দুই শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এটি যুদ্ধ শুরুর পর এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি রাশিয়ার "বায়বীয় সন্ত্রাস" এর নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের মিত্রদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বানও জানিয়েছেন বলেছেন, "প্রতিদিন,আমাদের জনগণ আকাশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।"
তার কথায়, পূর্ণ-স্কেল যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকীর আগে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ২৬৭ আক্রমণকারী ড্রোন চালু করেছে। ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে সবচেয়ে আক্রমণ।"
এদিকে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ১৩৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং আরও ১১৯টি ড্রোন ইলেকট্রনিক যুদ্ধে জ্যাম হওয়ার পরে, রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এসব হামলার পর ইউক্রেনের পাঁচটি অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে মস্কো বিগত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনে প্রায় রাতের বেলা ড্রোন হামলা শুরু করেছে। জেলেনস্কি বলেন, গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় এক হাজার ১৫০টি ড্রোন হামলা করেছে। এছাড়া এক হাজার ৪০০টিরও বেশি গাইডেড এরিয়াল বোমা এবং বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা পরিচালনাকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দেশটির বিদেশী মিত্রদেরকে "ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি" নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,সব অংশীদারদের ঐক্যের মাধ্যমে এটি অর্জন করা যায়, আমাদের সব ইউরোপের শক্তি, আমেরিকার শক্তি,যারা স্থায়ী শান্তি চায় তাদের শক্তি প্রয়োজন।"
কিয়েভ এবং এর ইউরোপীয় মিত্ররা গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেছে। ট্রাম্পও পাল্টা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে স্বৈরশাসক বলেছেন। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে রিয়াদে মার্কিন এবং রুশ প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে ইউক্রেন এবং ইউরোপের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে জেলেনস্কি বলেছেন, তাদের ছাড়া অনুষ্ঠিত বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিবেন না।সূত্র : রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :