মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়ে তুলতে পেরেছেন দুই নারী প্রার্থী। দুজনই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এবং ওই দুজনই পরাজিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনও ওভাল অফিস দখলের লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্তু সেবছর পপুলার ভোট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি পেয়েও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান হিলারি ক্লিনটন।
২০২৪ সালের নির্বাচনেও আরেক ডেমোক্র্যাট নারী প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জিতে যান ট্রাম্প। ফলে নারী প্রেসিডেন্ট পেতে অপেক্ষা বাড়লো মার্কিনিদের।
মজার ব্যাপার হলো হিলারি ক্লিনটন ও কমলা হ্যারিস উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের দুইজনের পরাজয়ের ক্ষেত্রেই ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন ট্রম্প। তবে অনেক বিশ্লেষকরাই বলছেন, নারী বিদ্বেষও পরাজয়ে ভূমিকা রেখেছে।
ক্যাম্পেইনগুলোতে হ্যারিস ও ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই নারীদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ট্রাম্প ও তার ক্যাম্পেইন নারীদের অপমান করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে ক্রেজি ও মানসিকভাবে অক্ষম বলে দাবি করেছেন। তাছাড়া হ্যারিস যদি নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্ব নেতাদের খেলার পুতল হবেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
সব মিলিয়ে এবারের মার্কিন নির্বাচনটি ছিল চরম প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন কমলা হ্যারিস। অনেকে অভিযোগ করেন,কমলার হারের পিছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যনীতি ও অতি মাত্রায় ইসরায়েলি তোষণ।
তবে, নির্বাচনে পরাজিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে লেখা থাকবে হিলাবি ক্লিনটন ও কমলা হ্যারিসের নাম।
এদিকে এবারের নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। বুধবার (৬ নভেম্বর) ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া এক ভাষণে, তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে হবে। আজ আমি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।আমি তাকে জানাই,রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আমরা তাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত, যাতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :