দেশের মিডিয়া ও সাংবাদিকদের ঘিরে একটি নেতিবাচক সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনেকেই মনে করছেন সাংবাদিকতা এখন আইসিইউতে। রাষ্ট্র সমাজ সকলে মিলে তার আরোগ্য কামনাই সমাধান। দেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিক মুখ খুলেছেন, কথাও বলেছেন। বলেছেন, নিকৃষ্টতম সাংবাদিকতা থেকে উদ্ধার চাই, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা অতি সম্প্রতি নোংরামির এক গভীর তলে পৌঁছেছে। এর জন্য নিজেকেও ভীষণ অপরাধী লাগছে, খুব লজ্জা লাগছে, ঘেন্না হচ্ছে। সকলের কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি। মৃত মুনিয়ার কাছে, মুনিয়ার বোন তানিয়ার কাছেও। আপনাকে ধন্যবাদ সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান।পাঠক, বাংলাদেশেসহ অনেক দেশেই মিডিয়া অনেকটা toothless bulldog এর মত। toothless bulldog এর মানে হচ্ছে দাঁতবিহীন বুলডগ (কুত্তা) কামড়াতে পারে না। মুনিয়া অপমৃত্যু বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আলভীরের সংশ্লিষ্টতা, ফটোগ্রাফিক প্রমাণ, কল রেকর্ড আমাকে বলছে তিনি একজন জঘন্য ধরনের বিবাহিত পুরুষ। দুর্ভাগ্যক্রমে মিডিয়ায় আমাদের কিছু হলুদ সাংবাদিকরা বসুন্ধরা এমডির নাম নিতে সাহস করছেন না। ইহাই হচ্ছে অদক্ষ, অকার্যকর, অকেজো, শক্তিহীন, অক্ষম, দুর্বল সাংবাদিকতা; যা অনেকটা toothless bulldog এর মত। কামড়াতে পারে না, যা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। মুনিয়ার অপমৃত্যু বা হত্যা (এখনও নিশ্চিত না) সন্দেহ মন্তব্য মতামত হতাশা আর আবেগে সারাদেশ উত্তাল। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে, আর সে ঢাকায় একাই একটি ফ্ল্যাটে থাকত, বিষয়টি সন্দেহজনক। এই ব্যাপারে মুনিয়ার পরিবার ওয়াকিবহাল না তা বোধ হয় ঠিক না। এখানে লোভ, স্বার্থসংশ্লিষ্টটা, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন, ইসলামিক জীবন বিধান থেকে বের হয়ে আধুনিকতায় উন্মাদ, মানবিক মূল্যবোধ আর নৈতিক চরিত্রহীনতার চরম অধঃপতন একাকার হয়েছে। যা মুনিয়ার আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এমনটাই মনে হচ্ছে। কলেজ পড়ুয়া একটা মেয়ে ১ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া করে একা ঢাকা বসবাস করে। দেখেন পাঠক দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সমর্থনে এই মেয়েটা এতদূর এসেছে। পরিবার সমাজ তাকে অপমৃত্যু বা হত্যা করতে সহায়তা করেছে। উপযুক্ত তদন্ত করত: ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসে একটি উদাহরণ স্থাপন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গুরু দায়িত্ব নয় কি? পাঠক, অর্থলোভী নারী আর নারী লোভী পুরুষ দুটোই দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য বিপদজনক। এরা কখনো সুখী হতে পারে না। মুনিয়া অপমৃত্যু বা হত্যা ঘটনা থেকে লোভী মেয়েদের বুঝা উচিত পয়সাওয়ালা টাকলুদের কাছে তোমরা বসুন্ধরা টিস্যুর মতোই। বিবাহ বহির্ভূত প্রেমকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি হারাম হলেও যারা বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালোবাসায় লিপ্ত তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন। ইসলামিক মূল্যবোধ থেকে আমরা দূরে সরে আসছি। অশ্লীলতার সব মরণাস্ত্র আমাদের হাতের মুঠোয়। চলমান বিশ্বে ব্যভিচার ও অশ্লীলতার সমস্ত পথ উন্মুক্ত। অশ্লীল সিনেমা, নোংরা পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেটে পর্ণ সাইট এসবের কারণে মানুষ যেনার প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে। পাঠক, মুনিয়াকে যদি হত্যা করা হয়ে থাকে, যদি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয় অবশ্যই তার ন্যায্য বিচার হওয়া উচিত। একই সময়ে মুনিয়ার দ্বারা সম্পাদিত ক্রিয়া কর্মকে আমরা নীরব সমর্থন করতে পারি না। যা সমাজ তথা দেশের জন্য অশনি সংকেত। একটা অবিবাহিত মেয়ে কীভাবে বিবাহ বহির্ভূত সংসার করতে পারে? আলাদা ফ্ল্যাট নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে থাকে এবং তার টাকায় জীবনযাপন করে। ভিকটিমের বড় বোনের স্টেটমেন্টে বলে দিচ্ছে যেটা পরিবারের সদস্যরা পরিষ্কার জানে। তাই বলছি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি এবং মেয়ের পরিবার দুই পক্ষকেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা উচিত। পাঠক, সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে আমাদের ভাবতে হবে এবং পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করতে হবে। মানবিক কারণে কিছু লোক মায়াকান্না করছে আমি দ্বিমত নই। তবে, আমাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এ সমাজ ব্যবস্থায় অনেক সুশ্রী রক্ষিতাদের ‘বদমাইশ বিত্তশালীরা’ পালে। আমরা সাধারণ মানুষদের বুঝতে হবে রক্ষিতা শব্দের মানে কী? সহজে এর অর্থ- যাদেরকে কেউ পুষে রেখে ব্যবহার করে। পতিতাদের সবাই মিলে ব্যবহার করে। রক্ষিতারা হল পতিতাদের চেয়ে উন্নত শ্রেণীর। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এরকম রক্ষিতারা বিত্তশালীদের টার্গেট করে নিজেরাই ওদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে। কারো রক্ষিতা হয়ে গেলে সে পুরোটাই রক্ষকের নির্দেশমতো চলতে হয়। পতিতাদের মতো তাদের স্বাধীনতা থাকে না। রক্ষিতাদের প্রায় পরিবারই তাদের মেয়ের বিষয়গুলো জানে, এমনকি তাদের আরও প্রলুব্ধ করে, কারণ একটাই টাকার লোভ। পাঠক, সহজে বড়লোক হবার লোভ লালসা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সমাজে কিছু লোক এ পথ খুঁজে। অনেক রক্ষিতারা জেনেশুনেই সে সকল বদমাইশ বিত্তশালীদের পেছনে ঘুরঘুর করে। অতি লোভাতুর স্বপ্নের ফলাফল সবসময় বিপদগামী হয়। তবে কাউকে মেরে ফেলা, মরতে প্ররোচিত করা সমাধান নয়। লেখক: ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (NHS) লন্ডন, মেম্বার, দ্য ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম।