পুরান ঢাকার চকবাজারে অন্তত ১০টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সমিতি রয়েছে। এগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন হাজী সেলিম ও তার পুত্র ইরফান সেলিমের ঘনিষ্ঠজন এবং রাজনৈতিক অনুসারীরা।
তাদের অনেকেই সেলিম পরিবারের নানা অপকর্মের ‘ক্যাডার বাহিনীর’ সদস্য হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সেলিমপুত্র ইরফান গ্রেফতারের পরও থেমে নেই এসব সংগঠন ও সমিতির কিছু নেতা। চকবাজার এলাকা এখনও রয়েছে তাদের কড়া নজরদারিতে।
‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’সহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন তারা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এসব ক্যাডার অধরাই থেকে যাচ্ছেন।
ফলে বিভিন্ন সময়ে হয়রানি, নির্যাতন ও প্রতারণার শিকার হলেও হাজী সেলিম পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করছেন না কেউ। বৃহস্পতিবার চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন ভীতিকর চিত্র।
এদিকে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের ১৪ দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার চকবাজার থানায় করা অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক চার মামলায় সাত দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই আসামিকে ওই চার মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ রিমান্ডের আবেদন করেন।
আগামী ২ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ধানমণ্ডি থানায় দায়েরকৃত মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলায় রিমান্ডে থাকা তিন আসামি ইরফান, জাহিদ ও মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপুকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিন চকবাজার থানা পুলিশের একটি দল ঘটনা তদন্তে হাজী সেলিমের বাড়িতে যান। এ সময় তারা বাড়ির অধিবাসীদের পাশাপাশি কথা বলেন স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম যুগান্তরকে বলেন, ধানমণ্ডি থানায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করবে ডিবি।
দুপুরে তিন আসামিকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সেদিনের (নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর) ঘটনার কথা তারা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে যদি অন্য কারও সম্পৃক্ততা থাকে সেটিও খুঁজে বের করা হবে।
ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আবদুল্লাহিল কাফি যুগান্তরকে জানান, তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর বুধবার বিকালে ইরফান ও জাহিদকে ধানমণ্ডি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সরেজমিন চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে হাজী সেলিমের অনুসারীদের অবস্থান রয়েছে। হাজী সেলিমের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’র নিচে অবস্থান ছিল ৫-৬ জন যুবকের। তারা নিজেরা কথা বলছিল।
আর বাড়ির আশপাশে অবস্থান ছিল আরও বেশ কয়েকজনের। অপরিচিত কাউকে দেখলেই তারা তার পরিচয় জানতে চাইছেন। এলাকায় কী করছেন সেই বিষয়েও জিজ্ঞেস করছেন।
তবে এক সময়ের জমজমাট দেবীদাস ঘাট এলাকা ছিল অনেকটাই নিরিবিলি। বাড়ির সামনে গেলেই একদল যুবক এসে এই প্রতিবেদকে পাকড়াও করতে থাকেন- ‘কেন এখানে এসেছেন?’
এ সময় তারা তাকে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে বলেন। সেলিমের বাড়ির সামনে একটি টেলিভিশনের সাংবাদিকরা গেলে যুবকদের ফোনে তৎপর হতে দেখা গেছে।
এরপর হাজী সেলিমের বাড়ির সামনে থেকে সরে অন্য স্থানে গিয়ে জানা যায়, ওই যুবকরা স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের সদস্য। পরে সামাজিক সংগঠনের অনুসন্ধানে নামে যুগান্তর।
জানা যায়, এমন অন্তত ১০টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও সমিতি রয়েছে হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের আশীর্বাদপুষ্ট ও নিয়ন্ত্রণে।
শ্রমিক, যুবক, ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীর নামে গঠন করা হয় এসব সংগঠন। স্থানীয় মসজিদ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদেও রয়েছেন এসব সংগঠনের সদস্যরা।
কয়েকটি সংগঠনের আবার এলাকায় এলাকায় শাখা-উপশাখাও রয়েছে। এসব সংগঠনের অনেক নেতা এখন ইরফান সেলিমের মুক্তির দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো, সংবাদ সম্মেলনসহ নানা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উল্লিখিত সংগঠনগুলোর বেশির ভাগ সদস্যই হাজী সেলিমের পরিবার সংশ্লিষ্ট অথবা তার রাজনৈতিক অনুসারী।
মদিনা গ্রুপের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মরতরাও আছেন সংগঠনগুলোতে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কথা বলা হলেও হাজী সেলিম ও তার পুত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেন এসব সংগঠনের সদস্যের একটি অংশের মাধ্যমে।
সংগঠনগুলোর অনেক সদস্যের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও সেটিকে সামনে না এনে সামাজিক সংগঠনের মোড়কেই তারা প্রভাব বিস্তার করেন।
কয়েকটি সংগঠনে থাকা সদস্যের বড় একটি অংশ ইরফানের গড়ে তোলা নিজস্ব ‘নেটওয়ার্কিং সিস্টেম’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
কাজ করতেন তার নিরাপত্তা রক্ষায়ও। তবে কিছু সংগঠনে ইরফান সেলিমের জোরপূর্বক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর কথার প্রমাণ পাওয়া যায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের ছবি দিয়ে টানানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন থেকে।
যেখানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতাদের পাশাপাশি সবার ওপরে দেখা যায়, হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিমের বড় বড় ছবি।
হাজী সেলিমের বাসার নিচে এই প্রতিবেদককে পাকড়াও করা ব্যক্তির ছবিও দেখা যায় একটি ব্যানারে। যেখানে তার নাম লেখা রয়েছে হাজী মো. সেলিম বাবু। আর পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়, দেবীদাস ঘাট যুব ঐক্য সংগঠনের সহ-উপদেষ্টা।
এই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সেলিমপুত্র ইরফান সেলিম। এছাড়া একটি সংগঠনের শীর্ষ পদে মদিনা গ্রুপের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার নাম দেখা যায়।
এসব সংগঠন ও এর নেতাদের দিয়ে ইরফান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অথচ ইরফান গ্রেফতার হওয়ার পরও তারা এখনও বহাল-তবিয়তে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন এই এলাকায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমপি হাজী সেলিমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। চকবাজারে হাজী সেলিমের রাজসিক প্রাসাদ ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ীতে’ যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
ভবনের নিচে দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষী আনন্দ জানান, ‘স্যার (হাজী সেলিম) বাসায় নেই’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র এবং আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়গুলো আমাদেরও নজরে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ডিএমপির চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমরা এখনও এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভয়ের কারণে মানুষ অভিযোগ করছে না- ব্যাপারটি এমন কি না জানতে চাইলে অভয় দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। যে কোনো অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখব।
রিমান্ডে যা বললেন ইরফান : পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডে ইরফান বেশির ভাগ প্রশ্নের জবাবেই ইংরেজিতে কথা বলেছেন। কিছু কিছু কথা বাংলায় বললেও তার বেশির ভাগই ছিল অস্পষ্ট।
বুধবার সন্ধ্যায় রিমান্ডে তার কাছে পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় তিনি কয়েকটি অভিযোগে নিজের দায় অস্বীকার করেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন তিনি।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাবলীলভাবে। ভাবটা এমন- যেন কিছুই হবে না। তবে রিমান্ডের একপর্যায়ে যখন তাকে বলা হয়, ‘অস্ত্র ও মাদক কেন রেখেছেন? এর জন্য তো জেলে খাটতে হবে।’
তখন তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। এ সময় ইরফান বারবার জিজ্ঞেস করেন, ‘জেলে সিগারেট খাওয়া যাবে না? বেলকনি নেই সেখানে?’
রিমান্ডে ইরফানের কাছে পাওয়া কুড়াল সম্পর্কে তিনি জানান, এটি থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। তবে অস্ত্র ও উদ্ধারকৃত মদ নিজের বলে অস্বীকার করেন ইরফান।
মদিনা অশিক টাওয়ারের টর্চার সেলের বিষয়ে ইরফান বলেন, সেটা টর্চার সেল নয়। সেখানে তিনি মাঝে মাঝে গিয়ে বসতেন, গান শুনতেন।
এছাড়া থাইল্যান্ড থেকে দুই বছর আগে আনা কুকুর ‘ডন’ ও আরেকটি বিদেশি কুকুর ‘র্যাক্স’কে নিয়ে মাঝে মাঝে যেতেন ভবনের রুফ টপে। তারা (কুকুরগুলো) অনেক সময় দুষ্টুমি করত। এগুলোকে বেঁধে রাখতেই সেখানে দড়ি ছিল।
ইরাফন ও তার দেহরক্ষী জাহিদ গ্রেফতার হন সোমবার রাতে। সেখান থেকে তাদের নেয়া হয় কারাগারে। তবে কারাগারের পরিবেশ পছন্দ হয়নি ইরফান সেলিমের।
ধানমণ্ডি থানায় রিমান্ডে তিনি প্রসঙ্গক্রমে জেলখানার বিষয়ে বলেন, ‘ভেরি নেস্টি’, ‘ডার্টি’। তিনি আরও বলেন, ‘জেলখানার ওয়াশরুমের পরিবেশ খুবই বাজে। ধানমণ্ডি থানার পরিবেশ জেলখানা থেকে একটু ভালো।’
গ্রেফতারের দিনের ঘটনার বিষয়ে রিমান্ডে ইরফান বলেন, আমি তো বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। উঠে দেখি বাসার চারদিকে ঘেরাও করা হয়েছে। কেন এমন হল বুঝতেও পারিনি।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থেকে ইরফানকে বাঁচিয়ে নিজেদের ওপর দায় নেয়ার চেষ্টা করছে তার সহযোগীরা।
রিমান্ডে তারা জানায়, ইরফানের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই তারা গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর করে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান।
মামলার আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন।
সোমবার করা মামলায় ওইদিন দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও জাহিদকে র্যাব তাদের হেফাজতে নেয়।
বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দু’জনকে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেন। র্যাব এই দু’জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি করে চারটি মামলা দায়ের করেছে।
হাজী সেলিমের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন : বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে প্রচারণা না চালানোর আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলবী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বেগম বাজার-মৌলবী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. দ্বীন মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনির আহাম্মদ, মনোহারী ও ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. শফিক ছাড়াও প্রায় ৩০টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতির কথা জানানো হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব বলেন, হাজী সেলিম ব্যবসায়ীদের সুখ-দুঃখে সর্বাবস্থায় পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন।
তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যমে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের চলমান ব্যবসা দারুণভাবে ব্যাহত করছে।
আমরা হলফ করে বলছি, তিনবার সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমাদের কোনো ব্যবসায়ী সমিতি বা সংগঠনে তার এবং তার পরিবারের উল্লিখিত বিষয়ে কোনো অভিযোগ আজও আমরা পাইনি।