বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ঘাটতি সাড়ে ১৪ লাখ টিকা

প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, মে ২২, ২০২১

ঘাটতি সাড়ে ১৪ লাখ টিকা

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। কিন্তু অনিশ্চয়তায় পড়েছে দেশের টিকাদান কার্যক্রম। ৫৮ লাখের কিছু বেশি মানুষকে টিকা দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল দেশের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া স্থগিত করা হয়। বর্তমানে মজুদ টিকা দিয়ে সর্বোচ্চ সাড়ে চার লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এরপরও এই ডোজ থেকে বঞ্চিত হবেন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ (১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪) মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। টিকা সরবরাহ করতে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। টিকাদান কর্মসূচির এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকার চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি সংগ্রহে তৎপর হয়ে ওঠে। এসব বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। যদিও চীনের সিনোফার্ম শর্তসাপেক্ষে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে এবং আরও ছয় লাখ ডোজ পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে আগামী মাসে এক লাখ ডোজ টিকা দেবে বলে জানিয়েছে। তবে সেটি কোনো আশা জাগানিয়া খবর নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের আরও অভিমত, যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে তত সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ যারা পাবেন তাদের এক বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকার কথা। তাই এই মুহূর্তে দ্বিতীয় ডোজের টিকা যে কোনো উপায়ে সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতেই হবে। অন্যথায় বড় ঝুঁকিতে পড়বে দেশ। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীনের সিনোফার্মা ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা দেশে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ২ জুন কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের অন্তত এক লাখ ছয় হাজার কোভিড ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠাবে গ্যাভি। যদিও চীনের ও রাশিয়ার টিকার বিষয়ে এখনো চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় এসব টিকা পেতে দেরি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, এখন টিকার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব আইন শিথিল করে বিভিন্ন দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কারণ যেসব দেশ টিকা উৎপাদন করে নিজেদের টিকাদান নিশ্চিত করছেন, তারাও ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ সারাবিশ্বের মানুষ যদি টিকা না পায় তাহলে কোনো একটি-দুটি দেশ সুরক্ষিত থাকতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এইচ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, দেশে টিকার যে মজুত আছে সেটি শেষ হলে টিকা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হবে। আগামী মাসে কোভ্যাক্সি থেকে এক লাখ টিকা আসতে পারে। তবে কবে আসবে সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। যদিও এই টিকার সিরিঞ্জ দেশে এসেছে। শিগগিরই ভারত, রাশিয়া বা চীন থেকে টিকা আসার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় গণটিকা দান কার্যক্রম। দেশের মানুষকে টিকা দিতে গত বছরের নভেম্বরে বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিকোর মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করে সরকার। এমনকি অগ্রিম টাকাও প্রদান করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে এ পর্যন্ত ৩২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। সব মিলিয়ে দেশে এক কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা ছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে বর্তমানে টিকা থাকার কথা চার লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ ডোজ। প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৬১ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ বাকি আছে। অবশিষ্ট টিকা পুরোটা দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে দেওয়া হলেও ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ জন বাকি থাকবে। তারা কবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাবেন সেটি এখনো অনিশ্চিত। অনিবন্ধিত টিকাদান : সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে যে অবশিষ্ট টিকা রয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে সেটি ঠিক নয়। কারণ এই অবশিষ্ট টিকার একটি অংশের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না। অনিবন্ধিত ৪০ বছরের নিচের বহু মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হিসাবের বাইরে থেকে গেছে। বিশেষ করে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী লোকদের ড্রাইভার, কাজের বুয়াদের এভাবেই টিকা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব অনিবন্ধিত টিকা অপচয় হিসাবে দেখিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিটি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা থাকে। অনেক টিকাদান কেন্দ্রে চার-পাঁচজন লোক আসার পরে একটি ভায়াল খুলে টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর নতুন করে কেউ না আসায় বাকি ডোজগুলো ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো সরাসরি অপচয়। তাছাড়া এমন অনেক মানুষ টিকা নিয়েছেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নেই। আবার কিছু ভিআইপি বিদেশি লোককে দেওয়া হয়েছে যারা নিবন্ধনের বাইরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা অনিয়শ্চয়তায় আছি। বর্তমানে ৯ লাখ ডোজ টিকা আছে। অন্যদিকে ভাইরাসের মিউটেন স্টেইন চলছে। এক্ষেত্রে বড় শহরগুলোতে কমপক্ষে তিন কোটি ডোজ প্রদান করতে হবে। অন্যথায় ভারতের মতো অবস্থা তৈরি হবে। তবে অনিশ্চয়তা মোকাবিলা করার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এ অবস্থায় যে কোনো উপায়ে টিকা জোগাড় করতে হবে। গণটিকাদান পুরোদমে শুরু না করা পর্যন্ত মানুষের চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বল প্রয়োগ করে হলেও সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যদি সেটি সম্ভব না হয় তাহলে বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে যুগান্তরের বিভিন্ন ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের তথ্যে জানা গেছে, টিকার সংকটের প্রভাব সারা দেশেই পড়েছে। চট্টগ্রামে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে টিকাদান বন্ধ রেখেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্র। সেখানে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। এদিকে ভোলার চর‌্যফ্যাশন থেকে ৪ হাজার টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। যদিও সেখানে ৩৬০০ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। আসছে কোভ্যাক্সের এক লাখ : আগামী জুন মাসে দেশে আসবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা ‘কমিরন্যাটি’। বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভির বিশ্বব্যাপী করোনা টিকা বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের আওতায় আসছে এক লাখ ছয় হাজার ডোজ। তবে জুন মাসের কোন তারিখে বা কোন সপ্তাহে এগুলো আসবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত জানে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে ইতোমধ্যে টিকাদানের প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জের চালান দেশে এসেছে। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধিত ঢাকার বাসিন্দারা এই টিকা পাবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এইচ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, আগামী জুন মাসে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঠিক কোন তারিখে এই টিকা দেশে আসবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জুনের প্রথম সপ্তাহেও আসতে পারে। তবে ইতোমধ্যে টিকাদানের প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ দেশে এসে পৌঁছেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে যুক্তরাজ্য গত বছরের ২ ডিসেম্বর এই টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। জানুয়ারিতে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা তালিকাভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনুমোদন মেলেনি বঙ্গভ্যাক্সের : এখনো মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন পায়নি দেশীয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক। যদিও সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কৃত এক ডোজের এমআরএনএ প্রযুক্তির টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’র গবেষণাপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে গ্লোব বায়োটেক কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, বঙ্গভ্যাক্স এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকরী টিকা। যা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফলভাবে মানবকোষ এবং প্রাণীদেহে দৃঢ় সুরক্ষা দেখিয়েছে। প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, এ টিকা মানবকোষ এবং প্রাণীদেহে সহনশীল ও নিরাপদ। টিকাদান-পরবর্তী ৭ম দিনে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা ১৪তম দিনে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছে। পরবর্তী ৯১ দিন পর্যন্ত মেমোরি সেল বা তথ্য সংরক্ষণ কোষগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া গেছে। যা নির্দেশ করে, এই টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে সক্ষম। গত ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাগার পরিদর্শন করে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই পরিদর্শন সাপেক্ষে গত ২৮ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ‘বঙ্গভ্যাক্স’ উৎপাদনের অনুমতি দেন। মানবদেহে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরিচালনার অনুমোদনের জন্য গত ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আবেদন করা হয়। ইথিক্যাল কমিটি প্রটোকল পর্যালোচনা করে শতাধিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে চিঠি দেয়। সংশোধিত প্রটোকল ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তগত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএমআরসিতে জমা দেয় গ্লোব। তবে এরপর বিএমআরসি থেকে আর কিছু জানানো হয়নি। এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এবিএম ফারুক বলেন, ক্রয়মূল্য এবং মানের দিক থেকে অক্সফোর্ডের টিকাটা ভালো। অনেক ধনী দেশে যেমন আমেরিকা, কানাডায় এটি মজুত আছে। এর মেয়াদ ৬ মাসের বেশি নয়। তাই তাদের কাছ থেকে আমরা নিতে পারি। এমনকি ভারত ছাড়াও অনেক দেশে এটি উৎপাদিত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া এই টিকা উৎপাদন করে তাদের দেশের সব মানুষকে দিয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে কেনা যায়। তাই পাশ্চাত্যের দেশগুলোর দামি টিকার দিকে না তাকিয়ে এদিকে বেশি নজর দিতে হবে। তাছাড়া দেশীয় ওষুধ কোম্পানির টিকা সংক্রান্ত প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রায়াল শেষ করতে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ মাস সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না।
Link copied!