শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে মুখোমুখি মামুনুল-ঝর্ণা

প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, নভেম্বর ২৫, ২০২১

আদালতে মুখোমুখি মামুনুল-ঝর্ণা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে মুখোমুখি হয়েছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহিন উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ সময় আদালতে মামলার বাদী ঝর্ণা ও আসামি মামুনুল হক সামনাসামনি ছিলেন। এর আগে গত ৩ নভেম্বর ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ শুরু করার আদেশ দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিবুজ্জামান রকিব জানান, কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে পুলিশ পাহারায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলার বাদী ঝর্ণাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহীদুল ইসলামের সঙ্গে ঝর্ণার দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে কাটছিল। তাঁদের ১৭ ও ১৩ বছরের দুই সন্তান আছে। স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সঙ্গে ঝর্ণার পরিচয় হয়। তাঁদের বাসায় অবাধ যাতায়াত থাকার সুবাদে ছোটখাটো সাংসারিক মতানৈক্যের মধ্যে মামুনুল সুকৌশলে প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। সাংসারিক টানাপড়েনের এক পর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট শহীদুলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। ঝর্ণা এজাহারে অভিযোগ করেন, বিচ্ছেদের পর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল তাঁকে ঢাকায় আসার জন্য প্ররোচিত করেন। ঢাকায় আসার পর তাঁর পরিচিত বিভিন্ন অনুসারীর বাসায় রেখে মামুনুল নানাভাবে তাঁকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন। এর ধারাবাহিকতায় মামুনুলের পরামর্শে কলাবাগানে এক বাসায় সাবলেট থাকতে শুরু করেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মামুনুল হক তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এজাহারে ঝর্ণা আরো অভিযোগ করেন, ঘোরাঘুরির কথা বলে ২০১৮ সাল থেকে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে তাঁকে নিয়ে যেতেন। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় রয়াল রিসোর্টে ঘুরতে নিয়ে মামুনুল তাঁকে ধর্ষণ করেন।
Link copied!