সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১

আরেক দফা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম

প্রকাশিত: ০৫:২২ এএম, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০

আরেক দফা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম

কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ সপ্তাহেও আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছ ১০৫ টাকা। আর ৩ মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৮৫-৮৬ টাকা। পাশাপাশি পাম অয়েল ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আদা, রসুন ও হলুদের দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) এসব পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার টিসিবির মূল্য তালিকায় বলা হয়- সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি লিটার লুজ পাম অয়েল সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাম বেড়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। আর ২ সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা। পাশাপাশি পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫৮০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৬০ টাকা। আর ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকা। এ দিন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার লুজ পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৯২ টাকা। ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৮৬-৮৮ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। কেজিতে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। প্রতি কেজি হলুদের দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, পাইকারি খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় বাড়াচ্ছে। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে বেশি দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত তেল কোম্পানিগুলোও প্রতি সপ্তাহে নতুন রেট দিচ্ছে। ফলে বোতলজাত সয়াবিনের দামও বেড়েছে। একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আঁখি আক্তার বলেন, প্রতি সপ্তাহে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে- এটা কেমন কথা। বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। দোকানে থরে থরে সাজানো একাধিক কোম্পানির ভোজ্যতেলের বোতল। পাশাপাশি খোলা তেলেরও সরবরাহ পর্যপ্ত। এরপরও বিক্রেতারা প্রতি সপ্তাহে বাড়তি দরে তেল বিক্রি করছেন। আর আমাদেরও বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। বাজার তদারকি সংস্থা এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে বাজার তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তবে জনবল সংকটে একজন কর্মকর্তা একাধিক বাজারে অভিযান চালাতে পারছে না। পর্যায়ক্রমে সব বাজার তদারকি করা হয়। আর যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, সেগুলোর কেনার রশিদ মিলিয়ে কারসাজি করা হচ্ছে কিনা তা দেখা হয়। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হয়। তিনি জানান, ভোজ্যতেলের বাজারও তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় এসে দাম কমানো হবে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা।
Link copied!