শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রাইস্টচার্চেও সূর্যোদয়ের অপেক্ষা

প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, জানুয়ারি ৮, ২০২২

ক্রাইস্টচার্চেও সূর্যোদয়ের অপেক্ষা

সিরিজ জয়ের জন্য চাই শুধু চাই ড্র। চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ হারবে না এটা নিশ্চিত। গত ১১ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটি থেকে কোনো টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি এশিয়ার কোনো দল। এবার বিরল সেই কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে মুমিনুল হক ব্রিগেড। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টাইগাররা যে আলো ছড়িয়েছে তাতে চমকিত ক্রিকেটবিশ্ব। নিজেদের প্রাপ্তিকে পূর্ণতা দেওয়ার নতুন চ্যালেঞ্জে মুমিনুলরা। এখন ক্রাইস্টচার্চেও সেই সূর্যোদয়ের অপেক্ষা। যদিও রোববার বাংলাদেশে সূর্যোদয়ের (ভোর ৪টা) আগেই শুরু হয়ে যাবে মাঠের লড়াই। পৌষের সূর্যোদয় আর মুমিনুল ব্রিগেডের ছড়ানো আলো কতটা একাত্ম হয়ে ওঠে সেটাই এখন ১৮ কোটি মানুষের ভাবনাজুড়ে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল। সফরকারী দলগুলোর জন্য এক দুঃস্বপ্নের নাম। এই মাঠে ৮ টেস্টের ৬টিই জিতেছে স্বাগতিকরা। এখানে তাদের একমাত্র হারটি ৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর বাকি ম্যাচটি ড্র। মঙ্গানুইয়ে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জেতার পর কিউই শনি তাড়িয়েছে টাইগাররা। তবে কি একইভাবে ক্রাইস্টচার্চ জুজুও তাড়াবে বাংলাদেশ? হ্যাগলি ওভালের বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করে আছে গতি, সবুজ ঘাস আর বাউন্স। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও নিল ওয়াগনাররা কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে যে টাইগারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এটা অনুধাবন করতে প্রয়োজন পড়ে না বিশেষজ্ঞ হওয়ার। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে কিউই কিংবদন্তি রস টেলরের বিদায়ী ম্যাচ তথা সিরিজ। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন টেলর। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে তার সতীর্থরা বিদায়ী সিরিজে কোনোভাবেই হারের লজ্জা দিতে চাইবেন না। স্বাগতিকরা যে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেবেন সেটা টেলরের কথা থেকেও সুস্পষ্ট। তার ভাষায় ‘ক্রাইস্টচার্চ আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। উইকেট বাউন্সি। আর এটা পুরো সময় টিকে থাকবে। এখানে অনেক ঘাসও থাকছে। এমন কন্ডিশনে আমাদের ব্যাটারদের সঙ্গে বোলাররাও অভ্যস্ত।’ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের চেয়ে হ্যাগলি ওভালের চ্যালেঞ্জ যে আরও কঠিন, এটা মানছেন সবাই। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চের ঘাসে মোড়ানো গতিময় আর বাউন্সি উইকেটে বোলাররা ছড়ি ঘোরাবে। মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক পেসাররা ১২৫-১৩০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে। আমার মনে হয় দ্বিতীয় টেস্টে তারা আরও ৫-১০ কিলোমিটার বেশি গতিতে বল করবে। আমাদের ব্যাটারদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ মঙ্গানুই টেস্টে প্রায় টানা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেছেন ইবাদত হোসেন। তাকে সুযোগ্য সমর্থন দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। বারুদের জবাব বারুদ দিয়েই দিতে হয় এটা প্রমাণ করেছেন টাইগার পেসত্রয়ী। বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যে চ্যালেঞ্জ, সেই একই চ্যালেঞ্জ কিউই ব্যাটারদেরও এমনটাই মনে করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বলেছেন, সবুজ উইকেট হলেও মনে রাখতে হবে আমাদের তিন সিমার খুবই ভালো করেছে। তাই ওদেরকেও মনে রাখতে হবে যে, ওদেরকেও আমাদের পেসারদের খেলতে হবে।
Link copied!