শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ কমালো জান্তা সরকার

প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ডিসেম্বর ৭, ২০২১

সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ কমালো জান্তা সরকার

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের উপদেষ্টা অং সান সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে সোমবার অং সান সু চির বিরুদ্ধে চার বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন জান্তার আদালত। পরে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, চার বছরের বদলে সু চি-কে দুই বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সামরিক বাহিনী-নিযুক্ত সরকার প্রধানের আংশিক ক্ষমার ভিত্তিতে সু চির কারাদণ্ড কমানো হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টিভি। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে জান্তার আদালতে এটিই ছিল প্রথম কোনো মামলার রায়। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সি গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুসগ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার বিষয়টি রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ৭৬ বছর বয়সি সু চির সমর্থকরা বলছেন, তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের করা এসব মামলা ভিত্তিহীন। তাদের অভিযোগ, সু চির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতেই এসব মামলা করা হয়েছে। অবশ্য মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলছে, সু চির প্রশাসনের নিয়োগ করা বিচারক এবং স্বাধীন আদালতে সুষ্ঠু কার্যবিধি মেনেই এ বিচার কার্যক্রম চলছে।
Link copied!