অবশেষে সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ল্যান্ডিং পারমিশন (অবতরণের অনুমতি) পেল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১ অক্টোবর থেকে তারা সৌদিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন জানান, গত ১৬ ও ১৭ মার্চের জেদ্দা ও রিয়াদের বিমানের রিটার্ন টিকিটধারী যাত্রীদের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা-জেদ্দা ও ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-রিয়াদে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ১৬ ও ১৭ মার্চের ফিরতি টিকিটধারী যাত্রীদের এই ফ্লাইটে বুকিংয়ের জন্য বিমান সেলস অফিসে টিকিট, পাসপোর্ট, সৌদি আরব নির্ধারিত অ্যাপস/লিংক থেকে অনুমোদনসহ ২৪ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, নতুন ফ্লাইট অনুমোদন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অন্য যাত্রীদেরও বুকিংয়ের জন্য অবহিত করা হবে। অন্য যাত্রীদের এখনই অযথা কাউন্টারে ভিড় না করতে অনুরোধ জানান তিনি।
কভিড নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক এবং নমুনা সংগ্রহের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছতে হবে; তাই সব যাত্রীকে ঢাকা থেকে কভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং ঢাকা থেকেই যাত্রা করতে হবে বলে জানান মোকাব্বির হোসেন।
২৫২ যাত্রী নিয়ে সৌদি গেল প্রথম ফ্লাইট
২৫২ জন প্রবাসী নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইট। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে ফ্লাইটটি। সৌদির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানী রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত ২৪ মার্চ সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। পরবর্তী সময়ে ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় সংস্থাটি। তবে সৌদি সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে এত দিন বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তারা সীমিতভাবে বিমান চলাচল শুরু করে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রবাসীদের সৌদি ফিরতে সাউদিয়া যে কয়টি ফ্লাইটের অনুমোদন চাইবে, তাঁরা দিতে প্রস্তুত আছেন। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশও যেন সৌদিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে, সে দিকটিও তাঁরা দেখছেন। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।