রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।আইন উপদেষ্টা বলেন, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদীত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
তিনি জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বোভৌমত্ব রক্ষা,জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক আহ্বানের কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার বিবৃতি দিয়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করতেই আজকে রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে।তিনি বলেন, আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্যই জরুরি মিটিং।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সেই ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত ওই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সাধারণ ছাত্র ও নাগরিকদেরও প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। কেউ কেউ মিছিল নিয়েও সমাবেশস্থলে পৌঁছান।তারও আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এনসিপি, শিবিরসহ কয়েকটি সংগঠন। শুক্রবার সকালেও দলের নেতাকর্মীদের সেখানে সে¤øাগান দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে শুক্রবার রাতে শাহবাগ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩ দফা দাবি সামনে রেখে গণজমায়েত কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথাও জানান তিনি।এর অংশ হিসেবে শনিবার বিকেল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে থাকে ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও ছাত্র-জনতা। সন্ধ্যা পর্যন্ত দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানের পাশাপাশি নানা ¯েøাগান দিতে দেখা যায় তাদের।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!