বিশ্বের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার পথে দ্রæত এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। যথাযথ কৌশল ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব এমনটাই মনে করেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং।বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) জধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ শীর্ষক অধিবেশনে মূল বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক উপস্থাপনায় তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
কিয়াক সুং বলেন,বাংলাদেশ বর্তমানে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক। এই অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো,শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি সুতা উৎপাদনের সক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি।তিনি আরও বলেন,বন্ডেড গুদামের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করলে কাঁচামাল দ্রæত সরবরাহ সম্ভব হবে, যা উৎপাদনে গতি আনবে এবং রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা বাড়াবে।ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ায় যে স্বন্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে সরকারের সক্রিয় ভূমিকাকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন কিয়াক সুং।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি মূল্য সংযোজন এবং উচ্চমানের পোশাক উৎপাদনের ওপর জোর দেন। “বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে আমাদের উচ্চমূল্যের ও মানসম্পন্ন পোশাক তৈরিতে মনোযোগ বাড়াতে হবে,বলেন তিনি।এ সময় বিজিএমইএ’র প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন এবং দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে বহুপাক্ষিক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আপনার মতামত লিখুন :