আ. হা. দিনার:- আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে দলীয় মনোয়ন পায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।তার এই মনোয়নকে ঘিরে কিশোরগঞ্জের বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে উত্তেজনা।
গত সোমবার দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি নেতা রেজাউল করিম খান চুন্নুর কার্যালয়ে দলের পাঁচ মনোনয়ন প্রার্থী মাজহারুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সংম্মেলন করেন।
মনোয়ন বাতিল চাওয়া ওই পাঁচজন হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, রুহুল হোসাইন, শরীফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর মাজহারুল ইসলাম ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে বালুমহাল,জলমহালসহ যত ধরনের অফিস-আদালত আছে, সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সবখান থেকেই চাঁদা নিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় সবার মুখে একটি কথাই রয়েছে যে, একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা শহরে ধানের শীষের মিছিল বের করেন। রাতে আবার মাঠে নামেন মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা মশাল মিছিল করেন। মিছিলকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান চলতে থাকায় রাতেও শহর উত্তপ্ত ছিল।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার মালিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটি। আমার তো ক্ষমতা নাই মনোনয়ন দেওয়ার। সারা দেশে উনি ৬-৭টা জরিপ করেছেন।যাঁর অবস্থান ভালো, উনি তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :