শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

‘সবার পাস’চেয়ে আন্দোলন,মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চেয়ারম্যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম

‘সবার পাস’চেয়ে আন্দোলন,মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চেয়ারম্যান

বৈষম্যহীন এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে আজ রবিবার আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তালা দেওয়ার পর আবার ভিতরে ঢুকে কক্ষ ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সর্বশেষ সন্ধ্যা ৭টার দিকেও থেকে থেমে ¯েøাগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বোর্ডের ভেতর অবরুদ্ধ আছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ‘সবাইকে পাস করানো’র দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন জানিয়ে তপন কুমার বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের অফিসে ভাঙচুরও চালিয়েছে।
বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত করেছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বোর্ডের মতো রবিবার যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতিমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। কারণ সিলেট শিক্ষা বোর্ডে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, বাকি ১০টি বিষয়ের ম্যাপিং হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে,বাকি ৬টি বিষয়ের ম্যাপিং হয়েছে। এ জন্য তারা সবগুলো বিষয়ের ওপর ‘ম্যাপিং’ করে ফলাফল নতুন করে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন। ঢাকা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন,হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন।এমনকি তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান।
সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডের ভেতরের চত্বরে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। তারা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন বলেন,  শিক্ষার্থীরা এখনও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আহত কতজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ধাক্কাধাক্কির মতো ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি।
 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!