সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

ভর্তি পরীক্ষায় ‘বৈষম্যবিরোধী, খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস, আবু সাঈদ, ফ্যাসিস্টের পতন’ নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৮:২০ পিএম

ভর্তি পরীক্ষায় ‘বৈষম্যবিরোধী, খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস, আবু সাঈদ, ফ্যাসিস্টের পতন’ নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বৈষম্যবিরোধী, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বেগম খালেদা জিয়া, আবু সাঈদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার’সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন হয়েছে। এ ছাড়া গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের শাসন পতনের একটি বর্ণনা নিয়েও লিখিত অংশে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ অনুবাদ করতে বলা হয়েছে।
শনিবার(২৫জানুয়ারি) দেশব্যাপী আটটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলে।
ভর্তি পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) বাংলা অংশে এসেছে, ‘বৈষম্যবিরোধী শব্দটি কোন সমাসে নিষ্পন্ন’, সাধারণ জ্ঞান অংশে এসেছে, ‘ঢাকা শহরের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন কে? উত্তর হিসেবে চারটি নাম ছিল, ‘জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ’।
আরও প্রশ্ন এসেছে ‘তিন শূন্য তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি? উত্তর হিসেবে চারটি বিকল্প রাখা হয়, ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শূন্য ক্ষুধা’।
আরেকটি প্রশ্নে এসেছে, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্মের নাম কী?’ উত্তর হিসেবে চারটি নাম ছিল, ‘উন্নত মম শির, অকুতোভয়, বিদ্রোহী, নাকি দুরন্ত’। উল্লেখ্য, আবু সাঈদের স্মরণে নির্মিত শিল্পকর্মটি হলো, ‘উন্নত মম শির’, চিত্রকলা অঙ্কন করেছেন শিল্পী শহীদ কবির।
সাধারণ জ্ঞান অংশে আরেকটি প্রশ্ন এসেছে,‘বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে?’ আরও ছিল অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন নারী রয়েছেন,২৫তম প্রধান বিচারপতি কে? মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনী কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছে?’ কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মুসলিম।
লিখিত অংশে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়। অনুচ্ছেদটি গত ৫ আগস্ট তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বর্ণনা নিয়ে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন,সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনা হয়েছে। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা রেখে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে।
আটটি বিভাগীয় শহরের পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন এবং প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। এদিকে প্রশ্ন দেখে প্রথমে সবাই কিছুটা হতচকিত হয়ে যায় এবং পরিক্ষার্থীরা অনেকেই কিছুটা ভয় পায়।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!