সারা জানিয়েছেন,তাঁর সকালগুলো দুঃখে কাটে তাঁর প্রাতরাশের জন্য। আর পাঁচ জনের মতো দুধ বা শর্করাজাতীয় খাবার থাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর। সকাল সকাল যা খেতে হয়, সেটি সারার একেবারেই না পসন্দ।
হাসিখুশি বলে বলিউডে পরিচিত সইফ আলি খানের কন্যা সারা আলি খান। তাঁর বন্ধুরা আবার বলেন, যেকোনও আড্ডা জমিয়ে দিতে সারা একাই যথেষ্ট। কারণ সারার রসবোধ তুলনাহীন। সেই মেয়ে কি না বলছেন, তাঁর সকাল গুলো দুঃখে কাটে! কেন?
এক সাক্ষাৎকারে সারা জানিয়েছেন,তাঁর সকালগুলো দুঃখে কাটে তাঁর প্রাতরাশের জন্য। আর পাঁচ জনের মতো দুধ বা শর্করাজাতীয় খাবার থাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর। সকাল সকাল যা খেতে হয়, সেটি সারার একেবারেই না পসন্দ।
প্রাতরাশে কী খান সারা? ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সারা যেটি খান, সেটি পানীয়। সারা বলছেন,‘‘হলুদ,পালং শাক জলে ফুটিয়ে, তা দিয়ে একটি পানীয় বানানো হয় আমার জন্য। রোজ সকালে সেটা খেয়েই আমার দিন শুরু করতে হয়। খাবার ব্যাপারে আমার মন্দ কপাল।’’
হলুদ-পালং জলের উপযোগিতা কী? পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন হলুদ এবং পালংশাক দু’টি খাবারই পুষ্টিগুণে ঠাসা। নানারকম ভিটামিন তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসও। পুষ্টিবিদ কণিকা মলহোত্র বলছেন,‘‘হলুদে কারকিউমিন রয়েছে,যা প্রদাহবিরোধী। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষ ভাল রাখতেও সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। অন্য দিকে পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে,আয়রন এবং ক্যালসিয়ামও। দু’টি উপকরণই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।’’
অভিনেতা অভিনেত্রীদের চেহারার খেয়াল রাখতে হয় সবসময়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি,সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার দিকেও নজর দিতে হয়। তার কারণ স্বাস্থ্য খারাপ থাকলে তার ছাপ পড়বে মুখেচোখেও। কণিকা বলছেন,‘‘হলুদ এবং পালংশাক এক সঙ্গে খেলে তা হজমশক্তি ভাল রাখে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, ওজনও কম রাখতে সাহায্য করে।’’
কী ভাবে বানাবেন? প্রথমে পালং শাক ভাল ভাবে ধুয়ে তা নুন দেওয়া গরম জলে ফেলে ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ বার ফুটন্ত জলে পালং শাক এবং হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। বেশ কয়েক মিনিট ফোটানোর পরে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হলুদ-পালংয়ের জল।সুত্র-আনন্দবাজার
আপনার মতামত লিখুন :