২০১৫ সালে সুমিত মাহেশ্বরী নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন নেহা। কিন্তু সেই খবর নাকি গোপন করে রেখেছিলেন নায়িকা। সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। ছোট পর্দার পরিচিত মুখ। বার বার পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার গুঞ্জন উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শেষ সম্পর্কও ভেঙে যায় নায়িকার। বর্তমানে ‘সিঙ্গল’ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পবিত্রা পুনিয়া। অভিনয়ক্ষেত্রে নেহা সিংহ নামেই অধিক পরিচিত১৯৮৬ সালের এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশের বাঘপতে জন্ম নেহার। পরে অবশ্য পরিবার-সহ দিল্লি চলে যান তিনি। বাবা-মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতে শুরু করেন। নেহার বাবা পেশায় পুলিশকর্মী ছিলেন।
দিল্লি থেকেই স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন নেহা। ছোটবেলা থেকে আইপিএস আধিকারিক হতে চেয়েছিলেন। ইউপিএসসি পরীক্ষা দেবেন বলে দেড় বছর পড়াশোনাও করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় অন্য দিকে।
কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর নামী সংস্থার তরফে মডেলিংয়ের প্রস্তাব পান নেহা। ২০০৯ সালে জনপ্রিয় চ্যানেলের এক রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
‘গীত-হুয়ি সবসে পরায়ি’, ‘লভ ইউ জিন্দেগি’, ‘হোগে জুদা না হম’, ‘ডর সবকো লগতা হ্যায়’, ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতে’, ‘নাগিন ৩’, ‘বালবীর রিটার্নস’ নামের একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় নেহাকে। তবে পেশাগত জীবনের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় এসেছেন নেহা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে সুমিত মাহেশ্বরী নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন নেহা। কিন্তু সেই খবর নাকি গোপন করে রেখেছিলেন নায়িকা। সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।গুপ্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ধরতেন ‘সুপার পাওয়ার’ প্রেসিডেন্ট! বিশ্বের বৃহত্তম স্টেশনে লুকিয়ে কী রহস্য?
ছিলেন রতন টাটার ছায়াসঙ্গী, টাটা মোটরসের গুরুদায়িত্ব পেয়ে কী বললেন সেই শান্তনু? নারীশিক্ষার কথা বলায় হাতকড়া হাতে ছুটল পেয়াদা! খোদ মন্ত্রীকেই ‘দেশছাড়া’ করল তালিবান
সুমিতের দাবি, নেহার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর নাকি চার বার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নেহা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অভিনেতা পরশ ছাবড়া এবং প্রতীক সহজপালের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন নেহা। এ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির বাইরেও নেহার ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ পরশ ছাবড়া ২০২০ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেহার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছিলেন। পরশ দাবি করেছিলেন, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সে কথা নেহা তাঁর কাছে লুকিয়েছিলেন। সত্যি সামনে আসার পরেই তিনি নেহার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন।
পরশ এবং নেহার সম্পর্ক নিয়ে সুমিত বলেছিলেন, “আমি জানতাম পরশ এবং নেহার সম্পর্ক ছিল। আমি পরশকে মেসেজ করেছিলাম। বলেছিলাম, আমি ওকে ডিভোর্স দেওয়ার পর তুমি ওকে বিয়ে করতে পারো। আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে আমার পরিবার জড়িয়ে রয়েছে। আমার হাতে এখনও ওর নামের ট্যাটু করা রয়েছে। আমার দিক থেকে এখনও কিছু বদলায়নি।” ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সুমিত জানিয়েছিলেন যে, নেহা তাঁর স্ত্রী। পরে অবশ্য তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
২০২০ সালে ‘বিগ বস্’ নামের রিয়্যালিটি শোয়ের ১৪তম সিজনে অংশগ্রহণ করেন নেহা। সেই সিজয়েনের প্রতিযোগী এজাজ খানের সঙ্গে নেহা ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এজাজ তাঁর বাবার সঙ্গেও নেহাকে দেখা করানোর কথা বলেন। শোয়ে এজাজ এবং পবিত্রার এই রসায়ন দেখে ধাক্কা খেয়েছিলেন সুমিত। এ কথা জানিয়েছিলেন সুমিত নিজেই।
সুমিত বলেছিলেন, ‘‘এজাজের সঙ্গে নেহা তাঁর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আবার নতুন সম্পর্কের জন্য তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সুমিত। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে নেহাকে হিরের আংটি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এজাজ। তবে ‘বিগ বস্’-এর বাড়ি থেকে বার হওয়ার বেশ কিছু দিন পর বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন নেহা এবং এজাজ। ২০২৪ সালের শুরুতেই বিচ্ছেদের কথা শুনিয়েছিলেন তাঁরা। মাঝের কয়েকটা বছরে কী ঘটেছে তা অবশ্য কারও জানা নেই।
শোনা যায়, পাঁচ মাস আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু সবটাই আড়ালে ছিল। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পবিত্রা বলেছিলেন, “সব শুরুরই একটা শেষ থাকে। তেমনই সম্পর্কেরও একটা সময়সীমা হয়। কয়েক মাস আগে এজাজের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পর্ক ভাঙলেও সব সময় ওর জন্য মঙ্গলকামনাই করব। সম্পর্ক না টিকলেও আমি ওকে খুবই সম্মান করি।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেহা বলেন,আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানকার শিক্ষকেরা আমায় চরিত্রহীনা বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। কারও প্রতি এমন মন্তব্য করা কখনও উচিত নয়। আমার মনে এই কথাটা বহু দিন ধরে বাসা বেঁধেছিল। পরে বুঝলাম যে, লোকজন যে কোনও বিষয়ে যেমন-তেমন মন্তব্য করেন। এগুলো নিয়ে মাথাব্যথার কোনও কারণ নেই।’’
নেহা আরও জানান যে, তিনি আবার বিয়ে করবেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমার ভাই অসুস্থ। আমি মাকে তাঁর স্বামী এবং ছেলের জন্য কাঁদতে দেখেছি। তাই আমি বিয়ে করতে চাই না।’’সমাজমাধ্যমে অনুগামীর সংখ্যা নজরে পড়ার মতো নেহার। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় নেহার অনুগামীর সংখ্যা ২১ লক্ষের গন্ডি পার করে ফেলেছে। সুত্র-আনন্দ বাজার
আপনার মতামত লিখুন :