পালিয়ে যাওয়া পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের সাভানা ইকো রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল। এ সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর। প্রশ্ন উঠেছে ঘুস-দুর্নীতিতে বেনজীর দেশে বে-নজীর স্থাপন করেছেন যার নজির বিশে^ দ্বিতায়টি নেই। দেশের একটি আইনশৃংখলা বাহিনী প্রধান এমন দুর্নীতিবাজ হতে পারে তা নিয়ে দ্বিতীয় প্রমান বিশে^ বিড়ল।
২১ জানুয়ারী মঙ্গলবার সাভানা ইকো রিসোর্টে বেলা ১১টা থেকে এনবিআর সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক মো. তারিক ইকবাল ও ওয়াকিল আহমদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও বিপুলসংখ্যক নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। মূলত সম্পদের হিসাব বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের বাস্তবতা মিলিয়ে দেখতেই এ অভিযান বলে জানান তারা। এর আগে কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অসংখ্য অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা অসংখ্য জমি এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে,রিসোর্ট তৈরির প্রায় সব জমিই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভয় দেখিয়ে এবং নানা কৌশলে কিনে নেন তিনি। আবার অনেক জমি নেওয়া হয় জবরদখল করেও। রিসোর্ট ও অন্যান্য স্থাপনা মিলে ওই এলাকায় ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমি বেনজীরের দখলে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের উপপরিচালক শাহ মো. ফজলে রাহী বলেন, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সব নথিপত্র পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন করে অফিসে পাঠাব। পরবর্তীতে কর অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বেনজীর আহমেদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকাকালীন গোপালগঞ্জের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন এই রিসোর্ট ও পার্ক। এসব অভিযোগের তদন্তে গত বছরের ৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল সাভানা রিসোর্ট পরিদর্শন করে। এর আগে ৩ জুন পার্কটি বন্ধ করে দেয় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে সুত্র জানায় বিপুল পরিমান কর ফাকি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক এই আইজিপি বেনজীর।
আপনার মতামত লিখুন :