পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৯টি মেগা প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টা নিশ্চিত করেন।জানা যায়, যেসব প্রকল্প অনুসন্ধান করা হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আশ্রায়ণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বেজা ও বেপজার বিভিন্ন প্রকল্পসহসহ ৯টি প্রকল্প। যেখানে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ লোপাট করা হয়ছে। এসব অর্থ আত্মসাৎ ও দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের বৈঠকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ঊর্ধ্বতন দুদক সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হবে তারা হলেন-শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক ও সজীব ওয়াজেদ জয়।এর আগে গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা লোপাটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এ রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম।রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গেøাবাল ডিফেন্স করপোরেশন।
আপনার মতামত লিখুন :