দেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে বাতিল হতে পারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ব্যালট পেপারে ফিরিয়ে আনা হতে পারে ‘না’ ভোট। সীমানা পুনর্র্নিধারণ, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদে উচ্চকক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে কমিশন।
ইভিএম পদ্ধতি বাতিল হতে পারে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সুশানের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে কমিশন গঠন করে সরকার। সংস্কারের সুপারিশ তৈরিতে এরইমধ্যে কমিশন নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পার করেছে। এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব। সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি আছে অনলাইন মাধ্যমের মতামতও। বিভিন্ন মত-পথ এবং গোষ্ঠীর প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনায় চলছে পৌনঃপুনিক বৈঠক। লক্ষ্য, সংস্কারের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন।
অংশীজনদের প্রস্তাব, রাজনৈতিক দেনদরবার, এমন বহুমাত্রিক মতামতগুলো পর্যালোচনার কোন পর্যায়ে আছে, তা জানতে কমিশন প্রধানের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। আগামী দিনে ভোটের মাঠে যে বিতর্কিত ইভিএম থাকছে না সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশের ইঙ্গিত তার।
নির্বাচন সংস্কার কমিটির প্রধান বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে বলতে পারি যে ইভিএম হবে না। কারণ ইভিএম কারিগরিভাবে ত্রুটিপূর্ণ। এ ছাড়া ইভিএম করতে হলে রাজনৈতিক ঐকমত্য লাগবে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোই প্রস্তাব করছে। এ ব্যাপারে ব্যাপারে ব্যাপক জনমত আছে। যেহেতু জনমত আছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো চায়, তাই এটার পক্ষে আমরা হয়ত সুপারিশ করবো। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত না। কারণ এ ব্যাপারে আমাদেরকে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদেরকে বের করতে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ কীভাবে নির্বাচিত হবে।
সীমানা পুনর্র্নিধারণ, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল, নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের ছড়াছড়ি রোধ, প্রার্থীদের হলফনামার সঠিক যাচাই-বাছাই, নতুন নির্বাচন পদ্ধতিসহ যেসব প্রস্তাবনা এসেছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করছে কমিশন। ব্যালটে ‘না’ ভোটের প্রচলন পুনরায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টিও আছে আলোচনায়।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘না’ ভোটের পক্ষে ব্যাপক জনমত রয়েছে। তাই এটি আমরা বিবেচনা করছি। হলফনামায় যাচাই-বাছাই করা হয় না। এটি যাচাই-বাছাই করা দরকার। এসব প্রস্তাব এসেছে। তাই এগুলো আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।
নিজেদের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি সরকার গঠিত অন্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর নতুন বছর শুরুর আগেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
আপনার মতামত লিখুন :