শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

আনিসুল-সালমান-জিয়াকে রক্ষার চেষ্টা, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

আনিসুল-সালমান-জিয়াকে রক্ষার চেষ্টা, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তিন আলোচিত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় জড়িত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরি ক্যাথেড্রাল গির্জায় বড়দিন উদযাপন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন, তবে এই ছুটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ধরনের কর্মকান্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে তিনি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এভাবে চার্জশিট বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কোনো নিয়ম নেই। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ম অনুসরণ না করেই এটি দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল(অব.)জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় আবার তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাটি জানার পর মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা তার ডিবির পরিচয় গোপন করে থানা-পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতিও নেননি। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন। আনিসুল হক ও সালমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল সবুজ মিয়া ও মো. শাহজাহান মিয়া হত্যা মামলায়। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সবুজকে মারধর করে ও শাহজাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়। সবুজের চাচাতো ভাই মো. নুরনবী ও শাহজাহানের মা আয়শা বেগম মামলার বাদী হন। মামলা দুটির তদন্ত করছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)গোয়েন্দা বিভাগের(ডিবি)রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তিনি গত ২৩ অক্টোবর দুই মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। নথিতে দেখা যায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নিজেকে তিনি নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তিনি কর্মরত আছেন ডিবিতে।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!