মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

সিআরআই ব্যাংক হিসাবে ৩৫ কোটি টাকা

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

সিআরআই ব্যাংক হিসাবে ৩৫ কোটি টাকা

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। 
তিনি বলেন,আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানটির নামীয় একটি ৩৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকার এফডিআর রয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র এবং ব্যাংক হিসাবসমূহের লেনদেনের তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। 
অদুদক সূত্রে জানা যায়, সিআরআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোমবার (৩ফেব্রæয়ারি) ওই টিম ধানমন্ডিতে অভিযান চালায়। 
অভিযান পরিচালনাকালে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিআরআই চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি হিসেবে বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
তবে অভিযানকালে সরেজমিনে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়টি বন্ধ পায় এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের যেসব ব্যাংকে হিসাব চালু ছিল ওই সব ব্যাংক (ডাচ বাংলা, আইএফআইসি, সোনালী ব্যাংক) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 
এর আগে সিআরআই নামের কোনো অফিস ধানমন্ডিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ। এদিন দুপুরে ধানমন্ডি ৬/এ -তে দুদকের এক বিফ্রিংয়ে তিনি তথ্য জানান।
রাজু আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতি সাধন করছেন কিনা সেটার যাচাই করার জন্য এসেছি। ধানমন্ডির কয়েকটা জায়গা ঘুরেও আমরা সিআরআই অফিস খুঁজে পাইনি। আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে আসি।অভিযোগ রয়েছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীর মন্ত্রী-এমপি ও ধান্ধাবাজ ব্যবসায়ীরা এই প্রতিষ্টানে চাদা দিয়ে অপরাধ হালাল করত। চাদাবাজ সংগঠন হিসাবে সিআরআই কুক্ষ্যাতি অর্জন করেছে। এখান থেকে কিছু মিডিয়া কর্মি নিয়মিত বেতন/মাসোহারা নিত। গবেষনা প্রতিষ্টানের নামে এখানে নানারকম ঠিকাদারি টেন্ডারবাজি বদলী- কমিশন এসবই চলত। যেহেতু শেখ রেহেনার ছেলে এখানে দায়িত্বে ছিলেন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!