সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদসহ ১০ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিতে সহায়তা করায় শওকত মাহমুদসহ চার সাংবাদিকদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
রবিবার(২৪নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চার সদস্যরা হলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, শওকত মাহমুদ,তাহমিনা আকতার,দৈনিক বাংলার বাণির সাবেক সম্পাদক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এবং যমুনা টিভির চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক, সালমা ইসলাম। তাদের সদস্যপদ স্থগিতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা পতিত সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতাদানকারী সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির আজকের (রবিবারের) সভায় নিম্নলিখিত চার সদস্যদের সদস্যপদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা বানচালের চক্রান্ত ও উশৃঙ্খল আচরণ এবং বিভিন্ন সময় ক্লাবে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও ছয় সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার ছয় সদস্যের ব্যাপারে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভা বানঞ্চালের চক্রান্ত, সভায় উশৃঙ্খল আচরণ এবং বিভিন্ন সময় ক্লাবে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অপদন্তের সঙ্গে জড়িত থাকা সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান সভায় উপস্থিত সদস্যরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির আজকের সভায় গঠনতন্ত্রের ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্নলিখিত সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত ছয় সদস্যরা হলেন শামসুল হক দুররানী,আসাদুজ্জামান আসাদ,জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ওবায়দুল হক খান,রাশেদ চৌধুরী ও ফারাজি আজমল হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :