জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এই মিশনটি বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগের তদন্ত করার জন্য কাজ করে। তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকান্ড ও অপকর্মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে র্যাবের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা "এনকাউন্টার" বা "গোলাগুলি"ঘটিয়ে অনেক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং জাতিসংঘ র্যাবের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,‘র্যাব বিলুপ্ত করতে জাতিসংঘের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার। তবে তাদের এই প্রস্তাব আলোচনা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে বিদেশি নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ও ট্রানজিট ভিসা আবেদনের সুযোগ দিয়ে করা অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘের এই সুপারিশের পর, বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার এর প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং র্যাবের বিলুপ্তি বা পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকার জানিয়েছে যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সুপারিশ বাস্বায়নে গুরুত্ব দেবে এবং এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদন্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে কাজ করবে।এই পরিস্থিতি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :