পিতা তিন দিনের পুরনো আলুভর্ত খেয়েদেয়ে রাজনীতি করেছেন। মারা যাওয়ার পরে কোনো এক মায়ায় শেখ হাসিনা তার বাসায় জায়গা দেন। সুধাসধনে জায়গা পেয়ে শেখ হাসিনার বেসরকারী নিরাপওা কর্মি হিসাবে কাজ শুরু করেন। যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন তাই তার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যার কথা বলছি তিনি হলেন মোগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের একযুগেরও বেশী সময় এপিএসের দায়িত্ব পালন করেন। এসময়ে আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়ে রাতারাতি ধনকুবের বনে যান এই শেখর। তার দর্নীতির তথ্যপ্রমান ও বিপুল অবৈধ সম্পদের এখন দুদকের হাতে। এবার স্ত্রী সীমা রহমানসহ তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
সাইফুজ্জামান শিখরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে একটি দল। দুদকের পক্ষে আদালতে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদনে বলা হয়,শিখর দম্পতি অবৈধ উপায়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তা ছাড়া বর্তমানে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার,অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আবেদনে আরও বলা হয়, শিখর দম্পতি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করতে পারে বলে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে। তাই তাদের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। আদেশের পর বিচারক পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ এসপির (ইমিগ্রেশন) কাছে আদেশের অনুলিপি পাঠান বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :