জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ওপর নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।তিনি বলেন,সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে ‘জুলাই সনদ’ হবে,তার বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।”
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারি) তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ছয়টা কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে, কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রæত করতে হবে,কতটুকু পরে করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব হবে। আর কোনোটা (সংস্কার) করার জন্য ‘কনস্টিটিউশনের অ্যামেন্ডমেন্ট’ দরকার। আবার কিছু সংস্কারের জন্য একটা ইমেডিয়েটলি মিনিস্ট্রি করতে পারে, সেটার জন্য কনস্টিটিউশন রিফর্মের দরকার হয় না, এমনকি পলিটিক্যাল পার্টির সাথেও সেভাবে কথা বলার প্রয়োজন না-ও হতে পারে।
কিন্তু তারা সবার সঙ্গে কথা বলবে।সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রেসসচিব বলেন, “পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন, ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন,এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে ‘জুলাই চার্টার’।
জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন অন্তর্র্বতী সরকার কিছু করবে, আর পরবর্তী যে সরকার আসবে তারা করবে। এ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে।’
আগামী নির্বাচন কবে হবে,তার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কতটা করে ভোটে যাওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
আপনার মতামত লিখুন :