বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১

চলতি বছরের অক্টোবরে তফসিল, আগস্টের মধ্যেই পূর্ণ প্রস্তুতির চিন্তা ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৫, ১২:৩১ এএম

চলতি বছরের অক্টোবরে তফসিল, আগস্টের মধ্যেই পূর্ণ প্রস্তুতির চিন্তা ইসির

দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই ঘোষণার লক্ষ্যে জুলাই-আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। ২৫ মার্চ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জুলাই-আগস্টের মধ্যেই ফুল প্রস্তুত থাকার চিন্তা করছি। কারণ, আমাদের যে সংশোধনীগুলো আইনে আসছে,সেগুলোর ম্যানুয়াল পাবলিশ করতে হবে। এই জিনিসগুলো আবার ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে। তারপরে মাঠ থেকে সকল পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশাল কর্মযজ্ঞ এটা। অক্টোবরে যদি আমরা তফসিল ঘোষণার চিন্তা করি, তাহলে জুলাই-আগস্টের ভেতরে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরকে টার্গেট করে সরকারের দিক থেকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরাও ডিসেম্বরকে টার্গেট করে সকল ধরনের পরিকল্পনাসহ কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছি।’জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাঠের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন রাষ্ট্রের প্রতিটা অর্গানের সহযোগিতার ইন্টিগ্রেটেড রেজাল্ট। আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশনকে সবাই সহযোগিতা করবে এবং সবাই চাচ্ছে, এবারের নির্বাচন নজিরবিহীন সুন্দর নির্বাচন হবে। যেহেতু অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সময় নির্বাচনটা হচ্ছে, সেহেতু নির্বাচন কমিশন মনে করে,কোনো প্রকার প্রভাব ছাড়া, পক্ষপাতিত্বহীন, নির্ভেজাল ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব হবে। যেকোনো মূল্যেই ভালো নির্বাচনের বিকল্প নাই। সবাই নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, সব কর্নার থেকে সবাই সহযোগিতা করবে। সেই সহযোগিতার রেজাল্টটি হবে একটা ভালো নির্বাচন।’
ভোটার তালিকা জুনের মধ্যে চূড়ান্তকরার সম্ভব বলে কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস ফুটিয়ে তুলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, জুনের ভেতরে আসনবিন্যাসের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের কিছু ছাপার ভুল সংশোধনের কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো কাজটি হয়ে যাবে। এ সংশোধনীটা হলে সীমানা নির্ধারণের কাজটি করা যাবে। এ ক্ষেত্রে দেরি হলে বিদ্যমান আসনবিন্যাস রেখেই নির্বাচন করতে হবে।
এই কাজ জুনের ভেতরে শেষ করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,‘তারপর আনুষঙ্গিক বিষয়; ধরুন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণবিধি বা অন্য যাঁরা সংশ্লিষ্ট থাকবে, তাদের আচরণবিধির প্রসঙ্গ। প্রাথমিক পর্যায়ে আগের আচরণবিধির সঙ্গে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য কিছু কিছু সহায়ক দিক আমরা সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। এটি এখনো খসড়া পর্যায়ে।’
আনোয়ারুল আরও বলেন, ‘তারপর পর্যবেক্ষক নীতিমালা সেটি কমিশনে অনুমোদনের আগে বলা যাবে না এটি চূড়ান্ত। আমরা খসড়া সাবমিট করেছি। এরপর ধরুন, আমরা নির্বাচন রিলেটেড যে কেনাকাটা, সেটাও তো আমাদের ফিন্যান্সিয়াল ইয়ার জুনের ভেতরে করতে হচ্ছে। এটা হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। পোলিং পারসনদের প্যানেলটাও আমরা জুলাই-আগস্টের দিকে প্রস্তুত করে ফেলব।’তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডার যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হবে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভিআইপি রয়েছেন, তাঁরা যাতে মুভমেন্টের সময় কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সে বিষয়টা আচরণবিধিতে অলরেডি আছে। সেটা ধরে নির্বাচিত সরকারের বাইরে ও বর্তমানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার রয়েছে। ভবিষ্যতে কেয়ারটেকার সরকারও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে পদ-পদবির দিক থেকে অন্যান্য ভিআইপি, মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে আমরা উপদেষ্টা শব্দটিও প্রস্তাব করব। আমরা এখনো পুরোপুরি খসড়াটা করি নাই। পরে নির্বাচন কমিশন যদি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে, তাহলে এটি চূড়ান্ত হবে।’

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!