শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

সবজির বাাজার নিয়ন্ত্রণহীন,যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

সবজির বাাজার নিয়ন্ত্রণহীন,যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে

দেশের মধ্যবিত্তদেরর বেশিরভাগ মানুষ বলছেন,সব কিছুর খরচ এতটা বেড়েছে যে,বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই। ফলে জীবনযাপনের হিসাব মেলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে,গেল ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর ৯ দশমিক ০২ শতাংশ ছিল ২০২২-২৩ অর্থবছরে। বিবিএসরই হিসাব, ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে মানুষের আয় বেড়েছে ৭.৮৮ শতাংশ হারে। আর ৭.৪৩ শতাংশ হারে বেড়েছে এর আগের বছর। অর্থাৎ আয় যেভাবে বাড়ছে ব্যয় বাড়ছে তারচেয়ে বেশি।
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থার প্রভাব পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনে। প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে ঘাটতি পড়ছে অন্য মৌলিক চাহিদায়।
প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি সংস্থার কঠোর মনিটরিংয়ে গত সপ্তাহে কমতে শুরু করেছিল ডিমের দাম। তবে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজনপ্রতি ৬ টাকা বেড়ে ১৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে ৮-১০ টাকা বেড়ে ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
পাশাপাশি খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মসুর ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ক্ষুব্ধ ক্রেতা বলছে, বাজারে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার,নয়াবাজার,রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি হালি ডিম ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৫০ টাকা ছিল।
এছাড়া পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 
অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। সাতদিন আগে প্রতি কেজি মিনিকেট সর্বনিম্ন ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম ও বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, যা সাতদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা।
খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিম ও চালের পাশাপাশি সয়াবিন তেল,পাম তেল,মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও দারুচিনি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিন খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৫৮ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৫৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫১-১৫৪ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৩ টাকা। মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, সাতদিন আগে খুচরা পর্যায়ে এ ডাল বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৩০ টাকা ছিল। আমদানি করা প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগে ২৪০ টাকা ছিল। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। যা আগে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দারুচিনি, যা সাতদিন আগেও ৫৫০ টাকা ছিল।

 

 

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!