সবার সহযোগিতা নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবো উল্লেখ করে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন বলেছেন, আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তাই করবো।
রোববার ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস ও অভিজ্ঞতা আমার আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।
এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে চলমান বিতর্ক শেষ হোক তারপর সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি। এদিন দুপুরে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।এর আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন অনুযায়ী গত ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি তালিকা গত বুধবার রাষ্ট্রপতি দপ্তরে পাঠায়।
পরে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার জনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন। সাবেকব আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন গত ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস নির্বাচন কমিশন শূন্য ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :