ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের এজেন্ট ও লোকাল অবজারভারদেও প্রশিক্ষণসহ অর্থসহায়তা দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
ওবিবার১৬ মার্চ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে দেখা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখান তিনি। সেখানে পোলিং এজেন্টের বিষয়টিও আলোচনা হয়।বৈঠকের পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।সিইসি বলেন, ‘সুন্দর একটি নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’বিগত নির্বাচনগুলোতে এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারতো না, আগামী দিনে পারবে কিনা এমন প্রশ্নে অতীতের সঙ্গে বর্তমান কমিশনকে না মেলানোর পরামর্শ দেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে দেশের নির্বাচনের কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্ট থাকতে না দেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরনো। আগের কমিশনগুলো এজেন্টদের কেন্দ্রে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা জানালেও বাস্তবে এর মিল পাওয়া যায়নি। আবার প্রার্থীদের অনেক এজেন্টও তার কাজের পরিধি সম্পর্কে ঠিক মতো জানেন না।’তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে যা হয়েছে ভুলে যান। এটা বর্তমান। দয়া করে কনফাইন টু দ্য কারেন্ট সিচুয়েশন। অতীতের কথা ভুলে যান, সবাই যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে পরিবেশ আমরা তৈরি করে দেব, ইনশাআল্লাহ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটা আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।এর আগে সংবাদমাধ্যমকে বৈঠকের বিস্তারিত জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি জানান, বৈঠকে মূলত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ব্যাপারেই বেশি আলোচনা হয়েছে। এটা কমিশনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বৈঠক।
সিইসি বলেন, তারা (ইইউ প্রতিনিধি দল) মূলত জানতে চেয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি কী আছে। আমরা যা যা করছি, সেসব তাদের জানিয়েছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির সবকিছু জানিয়েছি।তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের সাহায্য করতে চায়। তারা জানতে চেয়েছিলেন, ভোটের বাজেট কত, আমাদের টাকা-পয়সা ঠিকমতো আছে কি না, কোনোরকম অসুবিধা আছে কি না।’
আপনার মতামত লিখুন :