দেশে দুই বছর আগে গুম ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম,অভিনেত্রী শমী কায়সার ও তারানা হালিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন বিএনপির কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদ। বুধবার ৯ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা,পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বাদী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন ১৪ দলীয় জোটের নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিএমএম আদালত খারিজ করে দেন।ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী মগবাজার নয়াতলা নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। বাদী ২০১৯ সালের সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে কমিশনার পদে নমিনেশন প্রত্যাশী ছিল। এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করলে তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ২০২২ সালের ২২ জুন বাদীর ওপর হামলা করে দোকানের মালামাল লুটপাট করা হয়।
এরপর ওই বছর ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টায় বাদী মগবাজার থেকে তার ব্যবসায়িক কাজে রামপুরা ব্রিজে যাওয়ার পথে সাদা পোশাকধারীরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে হাতকড়া পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেধে মশিউর রহমান রাঙ্গা, শমী কায়সার ও তারানা হালিমের উপস্থিতিতে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। সেখানে চার দিন গুম করে রেখে ২৯ জুন হাতিরঝিল রাস্তার আইল্যান্ডের ওপরে রেখে যায়।
এরপর ওই বছরের ৮ জুলাই ভোর ৫টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ১৪ দিন পর গত ২১ জুলাই সকাল ৬টার দিকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়। সর্বশেষ ওই বছর ২৬ জুলাই ভোর ৭টায় হাতিরঝিল থানার পুলিশ বাদীকে তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :