জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে আজ। প্রায় দেড় শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ঘটনা ও এর কারণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।
জুলাই আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর)। বুধবার (১২ফেব্রæয়ারি) দুপুর আড়াইটায় জেনেভায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর। এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের পক্ষ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল। তবে একদিন এগিয়ে বুধবার এই প্রতিবেদন করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক উদ্বোধনী বক্তব্য দেবেন। এছাড়া, প্যানেল আলোচক হিসেবে থাকবেন এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান ররি মাঙ্গোভেন এবং জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিন শামদাসানি।
যারা সরাসরি অংশ নিতে পারবেন না, তারা জাতিসংঘের ওয়েব টিভিতে সংবাদ সম্মেলনের সম্প্রচার শুনতে পারবেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠনের নজির ছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম।
গত বছর জুলাই-আগস্টে কোটাবিরোধী আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ ওঠার পরপরই জাতিসংঘ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়।
গত আগস্টেই প্রাক-তদন্ত দল ঢাকা আসে এবং সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ তাদের খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে মতামতের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছিল। সরকার গত সপ্তাহে মতামত জানিয়েছে। জানা গেছে, প্রায় দেড় শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ঘটনা ও এর কারণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।
আপনার মতামত লিখুন :