চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় এ ভোটগ্রহণ শেষ হয়, যা শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে ৯টায়।এখন গণনা শেষে ফলের অপেক্ষা করছেন প্রার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ,সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ,কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ও প্রকৌশল অনুষদের ১৫টি কেন্দ্রে মোট ৬০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।
চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই একটি কেন্দ্রে ৪টার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে ছিলেন, তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ছোট ছোট অভিযোগ পেয়েছি। বড় ধরনের অভিযোগ ছিল কালি মুছে যাওয়ার। এই ধরনের কালি আমরা কোথাও পাইনি। সার্বপরি সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আয়োজিত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৩ প্যানেলসহ মোট প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি পদে ৪১৫ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এ ছাড়া ১৪টি হল সংসদে লড়বেন ৪৭৩ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্রদের ৯টি হল ও ১টি হোস্টেল মিলে ৩৫০ জন এবং ছাত্রীদের ৫টি হলে ১২৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয়বার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে; আর সবশেষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে।
আপনার মতামত লিখুন :