অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সোমবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন,জাতীয় পার্টির মতো মেরুদন্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদেরকে প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে লিখেছেন,‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে,আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’ উল্লেখ্য-আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে এরশাদের জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রীসভায় গত ১৫ বছরে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তারা হলেন পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় ছিলেন এরশাদ নিজেই, তার ভাই জিএম কাদের বাণিজ্যমন্ত্রী, ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানিসম্পদ মন্ত্রী, মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মস্থান প্রতিমন্ত্রী, এডভোকেট সালমা ইসলাম মহিলা ও শিশু, মশিউর রহমান রাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী,আরেক মহাসচিব রহুল আমিন হাওলাদার বিমান-পর্যটনমন্ত্রী। এছাড়া জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় বেগম রওশন এরশাদ, হুইপ, চিফহুইপসহ দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রদূতসহ সরকারের নানা বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হওয়াসহ বুকভরা ক্ষমতা-সুবিধা আওয়ামী রীগের সাথে থেকে পেয়েছে-ভোগ করে আরাম-আয়াসে দিনযাপন করছে। বিষয়টি হলো নড়াচড়া না করার জন্য শক্ত করে দড়িকাছি দিয়ে বেধে গরু জবাইয়ের জন্য যে ১০ জন ধরলো তার অপরাধ হয়না, যিনি ছুড়ি দিয়ে গরুটা জবাই দিলো তার সব অপরাধ?
আপনার মতামত লিখুন :