দেশে ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া ও ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার (২৬জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
যেসব বিষয়েগুলোতে তারা একমত হয়েছেন তা হলো-১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।৩. ভোটাধিকারসহ সব মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।৪. ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রæত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সব অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা। ৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলব না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ৯. ইসলামী শরিয়াহ্বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিবো না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবো না। ১০.প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রæত অপসারণ করা।
আর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের অফিসে প্রবেশ করেন।পরে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
আপনার মতামত লিখুন :