সংস্কার যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে: তারেক রহমান

জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি  বলেছেন, স্থানীয় বা জাতীয় যে নামেই হোক নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। রোববার (২ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কদমদলীতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন সংস্কার যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে.
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, মানুষের অর্থ সম্পদ লুটতরাজ করে বাইরে নিয়ে গেছে। জবাবদিহিতা ছিল না বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন,আমরা প্রায়শই বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি, আহা ওই দেশটি কি সুন্দর, ওই দেশের সিস্টেম কি ভালো। ওসব দেশে জবাবদিহিতা আছে। জবাবদিহিতা আছে বলেই সেসব দেশের সিস্টেমগুলো কাজ করে। জবাবদিহিতাটা কী? জবাবদিহিতা হচ্ছে নির্বাচন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মী। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বুঝি, সমাজে বা রাষ্ট্রে যদি জবাবদিহিতা না থাকে তাহলে কোনো কিছু টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। জবাবদিহিতা থাকতেই হবে। আমাদের সংসারে কিন্তু জবাবদিহিতা থাকে যে, এই কাজটি করা যাবে, এই কাজ করলে মানুষ সমালোচনা করবে, সন্ধ্যার ভেতরে বাসায় ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ পরিবারেও আমাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
তিনি বলেন, আজকে যদি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হতো, জনগণের ভোটে যদি মেয়র নির্বাচিত হতো তাহলে তারা আপনাদের দেখভাল করতে বাধ্য থাকতেন। কারণ সে জানত আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এখন যদি আমি মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ না করি, আমি যদি মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করি তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আমি হেরে যাব। কারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবে না।
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে জানিতে তারেক রহমান বলেন, আমরা প্রায়ই উদাহরণ দিই আমাদের দেশ এরকম হয়ে যাবে, ওরকম হয়ে যাবে। দেখুন দেশটি যদি এরকম হতে হয়, ওরকম হতে হয় তাহলে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সমাধান করতে হবে। সবাই যদি মিলেমিশে কাজ করি তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বহু কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। আমাদের দল ছাড়াও দেশের লাখ লাখ মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে।
দ্রæত সংস্কার কাজ করে শেষ করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন,সংস্কারের নামে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও সুযোগ পাবে দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রিিত অনুরোধ, সংস্কার সংস্কার করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয় তাহলে সংকট আরও বাড়বে, স্বৈরাচার আরও ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে। সংস্কার বাস্তবায়ন করা গলে দ্রæুুুুুুত জনগণকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব। তিনি বলেন, বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ও সংস্কার কমিশন যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নাই।