‘জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কেউ কেউ বিচলিত হয়ে পড়েন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রæত বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলনের শেষ দিনে এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে।’তিস্তা মহাপরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর দেরি সহ্য করা হবে না। সরকার যদি জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে, তাহলে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচির শেষ দিনে তিস্ত নদীর তীরে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা ‘জাগো বাহে,তিস্তা বাঁচাই’ ¯েøাগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ‘তিস্তা নদীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় কৃষকরা পানির জন্য হাহাকার করছে, নদীভাঙনে হাজারো পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে।অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তায়ন করা হোক।এটা এখন দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রাণের চাওয়া হয়ে উঠেছে।তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি না থাকলেও বিএনপির এই লাগাতার ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির ফলেই ভারত সরকার পানি দিতে বাধ্য হয়েছে। আগামীতে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে তিস্তার ন্যায হিস্যা আদায় করা হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে হাফিজ বলেন, আমরা ম্যান ম্যান করা তত্বাধায়ক সরকার নই, আর ভোট চোর সরকার তো স্বামীর বাড়ি গিয়েছেন। আগামীতে আপনাদের দোয়া বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের ফসল চাষের জন্য তিস্তায় পর্যাপ্ত পানি নেই। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানির অভাবে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে, আর বর্ষায় বন্যার কবলে পড়ে জমি, বাড়িঘর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কতবার যে বাড়ি ভেঙেছে তার হিসাব নেই।আমরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।
আপনার মতামত লিখুন :