সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন আর নেই। রবিবার (২৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
সুপ্রিম কোর্টের এক শোক বার্তায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি বেশ কিছুদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন,সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আইনের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মরহুম সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের জানাজা আগামী ২৬ নভেম্বর বাদ জোহর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনস্থ ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় প্রধান বিচারপতিসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,ঐতিহ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুহুল আমিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কাজ বন্ধ থাকবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে।
প্রয়াত সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১৯৪১ সালের ১ জুন লক্ষীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. এবং ১৯৬৫ সালে এলএল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ১৯৯২ সালের ১৮ ফেব্রƒয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০১ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। বিচারপতি রুহুল আমিন ২০০৭ সালের ১ মার্চ থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :