বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হত্যাকান্ডের শিকার পান্নার মৃতদেহ উদ্ধার-ভারতীয় পুলিশ

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ১০:৩১ এএম

হত্যাকান্ডের শিকার পান্নার মৃতদেহ উদ্ধার-ভারতীয় পুলিশ

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে আছেন। আবার কেউ কেউ দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা। দেশ ত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে একজন হলেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না। ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকান্ডের শিকার হন তিনি। ভারতের মেঘালয় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়েও পাওয়া যাচ্ছিল নানা রিপোর্ট।পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। পান্নার লাশ এখন ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা ইসহাক আলী খান পান্নাকে মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে মেঘালয় পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। রাজ্যটির পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে,পান্নার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা গেছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে ইসহাক আলী খান পান্নার আধা-পচা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পান্নার বহন করা পাসপোর্ট থেকে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র আরো জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে— তিনি শ্বাসরোধের কারণে মারা গেছেন। রিপোর্টের ভাষায়, ‘মৃত্যুর কারণ হলো শ্বাসরোধের কারণে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট’। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কপালেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মরদেহ ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।আওয়ামী লীগের এই নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পান্না। ওই সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একাধিকবার এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের উপমন্ত্রী হলেও পান্না বরাবরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাইরে ছিলেন।
তবে ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান পান্না। অবশ্য পরে ১৪ দলীয় জোটগত নির্বাচনের কারণে সরে যেতে হয় তাকে। পেশাগত জীবনে বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!