চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এবার পরের ওপর ভরসা করা ছাড়া জো নেই আফগানিস্তানের। কয়েকটি কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ভাগ্য। প্রথমত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হবে এবং সেই হার হতে হবে কমপক্ষে ২০৭ রানের। আরও কঠিন অঙ্ক আফগানদের সামনে, তবুও আশাবাদী দলটির অধিনায়ক, ‘কখন কি হয় বলা যায়?’
সেই কখন কি হয়,অর্থাৎ অসম্ভব এক সমীকরণের সামনে পড়েও বিশ্বাস হারাচ্ছে না আফগানিস্তান। বেশ কিছু সমীকরণ মিললেই তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে তারা। অন্যথায় মাঠের বাইরে থেকেই নিতে হবে বিদায়। আজ বিকালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে প্রোটিয়ারা। ইংলিশদের হাতেই এখন ঝুঁলে আছে আফগানদের ভাগ্য।
ট্রফির মিশনে আসা এই জশ বাটলারদের হারিয়েই সেমির স্বপ্ন বাড়িয়েছিল আফগানিস্তান। আজ তাদের ওপরই ঈগল চোখ করে বসে আছে। দলটির অধিনায়ক শহিদী বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বলতে গেলে, কখন কী হয় বলা যায় না। এখনও আশা আছে। আশা করি ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানে জিতবে।’
বি গ্রæপে জমে উঠেছে শেষ চার মেলানোর সমীকরণ। এখনও কাগজে-কলমে বেঁচে আছে তিন দলের সেমিতে যাওয়ার আশা। গতকাল লাহোরে আফগান-অজিদের মহারণ পুরন হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেছে সেমির টিকিট। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের মাঝে লড়াই। যে লড়াইয়ে যোজন এগিয়ে প্রোটিয়ারা।
নেট রান রেটের কারণেই হয়ত বিদায় নিতে হবে আফগানদের। সেই শঙ্কা আছে। তবে হাসমতউল্লাহ আফসোস করেছেন অজিদের বিপক্ষে বড় রান করতে না পারার, ‘দুর্ভাগ্যজনক যে ম্যাচটি কোনও ফল ছাড়াই শেষ হল। ভালো ম্যাচ হচ্ছিল। আমার মনে হয়, আমাদের ৩০০-এর বেশি রান করা উচিত ছিল, কিন্তু তারা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং করেছে। ২৭০ একটা ভালো স্কোর ছিল, কিন্তু আমরা বল হাতে ভালো শুরু করতে পারিনি। অনেক বেশি ওয়াইড বল দিয়েছি এবং তাদের মারার সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা এখান থেকে শিক্ষা নেব।’শেষ চারে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী কে হচ্ছে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজ ম্যাচ শেষ অবধি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিকাল তিনটায় করাচিতে শেষ চার কিংবা শীর্ষ দখলের লড়াই।
আপনার মতামত লিখুন :