বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২

এবার বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের টার্গেট দিলো ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:১১ পিএম

এবার বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের টার্গেট দিলো ভারত

খেলার মাঝে পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটেই ৭২ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। এরপর বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। এরপর বাংলাদেশের সব বোলাররাই মোটামুটি ভালো বোলিং করেছেন। তাতে ১৬৮ রানেই থেমে গেছে ভারতের ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে এখন করতে হবে ১৬৯ রান।  
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করেছে ভারত। দলের পক্ষে ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। এছাড়া মিডল অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৮ রান। 
এদিন টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লিটন দাসের ইনজুরিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিক। একাদশেও আসে চারটি পরিবর্তন। ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। 
ইনিংসের শুরুতে দেখেশুনেই ব্যাটিং করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। ভাগ্য সহায় থাকলে তৃতীয় ওভারে উইকেটও পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু পেসার তানজিম হাসান সাকিবের করা তৃতীয় বলে অভিষেকের ক্যাচ ঝাঁপিয়ে পড়েও তালুবন্দি করতে পারেননি উইকেটকিপার জাকের।
এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটার অভিষেক। এই বাঁহাতি ব্যাটার নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওপর রীতিমত তান্ডব চালান। তাতে ৩ ওভারে ১৭ রান থেকে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই বিনা উইকেটে ৭২ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। 
অবশেষে ইনিংসের সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে আসতেই প্রথম উইকেট বাংলাদেশ। ওভারের দ্বিতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন গিল। বাউন্ডারি সীমায় দাঁড়িয়ে সহজেই ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তাতে ভারতের সহঅধিনায়ক ফিরেছেন ১৯ বলে ২৯ রান নিয়ে।
এরপর নবম ওভারে রিশাদ আউট করেছেন তিনে নামা শিবম দুবেকেও। তারপরেও ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৫ বলেই ফিফটি তুলে নেন অভিষেক। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১১২ রানে রান আউট হন তিনি। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রিশাদ বল দেন বোলিং প্রান্তে থাকা মুস্তাফিজকে, তাতেই ৩৭ বলে ৭৫ রানে থামে অভিষেকের ইনিংস।
এরপর ভারতের দলীয় ১১৪ রানেই আউট হন সূর্যকুমার যাদবও। মুস্তাফিজের বলে জাকের আলির গ্লাভসবন্দী হয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানেই ফিরেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তিলক ভার্মাও তানজিম সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ব্যাটার ৭ বলে ৫ রান করেন।
বাংলাদেশ বোলারদের এমন কামব্যাকের পর ভারতের আর কোনো ব্যাটারই আগ্রাসী হতে পারেননি। তবে হার্দিক পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত ম্যাচের হাল ধরে ছিলেন। অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের সংগ্রহ গড়েছিলেন তিনি। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বল খেলে তিনি করেছেন ৩৮ রান। অক্ষর অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ১০ রান করে। 
টাইগারদের হয়ে ৩ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব,মুস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন। উইকেট না পেলেও দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন সাইফ হাসান। এখন দেখার বিষয় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ কেমন করে।সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জয়লাভ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮/৬ (অভিষেক ৭৫, পান্ডিয়া ৩৮, গিল ২৯, অক্ষর ১০; রিশাদ ২/২৭, তানজিম ১/২৯, মুস্তাফিজ ১/৩৩, সাইফউদ্দিন ১/৩৭)।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!